শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই প্রশাসন) মাহমুদুন নবী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাটোর জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও বিআরটিএ অফিস সূত্র জানায়, ট্রাফিক আইন অমান্য, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট না থাকা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অপরাধের দায়ে জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, ক্যাভার্ড ভ্যান, ট্যাংকলরি ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে গত আড়াই বছরে ১৭ হাজার ৯৮০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর বিপরীতে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ২ হাজার ৫৭০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ২ হাজার ৫৬১টি মামলার বিপরীতে ১৫ লাখ ৩২ হাজার ২৭৩ টাকা, ২০১৬ সালে ৬ হাজার ৯০০টি মামলার বিপরীতে ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টাকা এবং ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত গত ৬ মাসেই ৮ হাজার ৫১৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে এ ৬ মাসেই ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে রেজিস্ট্রিবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কারণে ২০১৬ সাল থেকে এপর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭৩টি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়। এতে গত দেড় বছরে ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মোটরযান পরিদর্শক উত্তম কুমার দেব শর্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন রুটে পুলিশ রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল আটক ও মামলা করায় জেলায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, মোটরযান আইন অনুযায়ী এটা পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম। তাই এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০১৭
আরএ