বিষয়টি স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালেই গরুর বর্জ্য বিক্রি করে রফতানি আয় হয়েছে ১শ ৭০ কোটি টাকা।
ইমরান হোসেন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে খামারিরা লোকসানের শিকার হচ্ছেন। ফলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এতে সঙ্কটে পড়ছে গরুর খামার শিল্প। এখন সরকার দেশের খামারিদের ভর্তুকি দিলে কিংবা গো-খাদ্যের দাম কমালে এবং বিদেশ থেকে পাউডার দুধ আমদানি বন্ধ করলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। এতে দেশের মানুষ যেমন কমমূল্যে গো-মাংসের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন, তেমনি রফতানি আয়ও বাড়বে।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ সালে যখন দেশে খামারির সংখ্যা ১২ লাখ ১ হাজার ৪৩২জন, তখন দেশে দুধের চাহিদা ছিলো ১৪ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মেট্রিকটন। আর উৎপাদন ছিলো ৭ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মেট্রিকটন। ২০১০-২০১১ সালের তুলনায় উৎপাদন বাড়লেও দুধের দাম কম। আবার ইউরোপ থেকেও পাউডার আমদানি করা হচ্ছে। তাই , আমদানি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মিল্কভিটাসহ প্রতিটি দুধ প্রসেসিং কোম্পানির বর্তমান বাজারদর পরিবর্তন করে একটি নির্দিষ্ট দামে দুধ সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে।
দেশের দুধ এবং মাংস শিল্প রক্ষায় শনিবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশও তুলে ধরেন ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, দুধ এবং মাংসের চাহিদা পূরণে নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ভর্তুকি ও সুদমুক্ত দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে হবে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় বেশি করে পশু ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, মালিক ওমর, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ ইমরান, সদস্য ফাহিম ইবনে জুলফিকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/