মিলেনিয়োম গার্মেন্টের শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলেও শ্রমিকরা অন্যান্য দিনের মতো কাজ করেছেন বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরপর তারা কাজ শেষে কারখানা থেকে যার যার বাড়ি ফিরে যান।
জ্যোৎস্না নামে এক শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ৩১ তারিখ সকালে অন্যান্য দিনের মতো কাজ করতে আসি। কারখানা বন্ধ দেইকা স্যারদের কাছে জানতে চাই। তারা বলছেন, মালিক বলেছে কারখানা চালাইবো না। তাই বন্ধ।
কারখানা হঠাৎ বন্ধ করে দিলেও আইনানুগ কোনো পাওনা বেতন-ভাতা দেয়া হয়নি শ্রমিকদের। তাই মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেন মিলেনিয়াম কারখানার শ্রমিকরা।
এ সময় বিজিএমইএ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কতদিনে সমস্যার সমাধান হবে তা জানানো হয়নি। তাই শ্রমিকরা দুপুর ২টা থেকে অবস্থান নেয় করওয়ান বাজারের কলকারখানা অধিদপ্তরের সামনে।
এ ব্যাপারে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বাংলানিউজকে বলেন, মালিক চোরের মতো কিছুই না জানিয়ে কারখানা থেকে মেশিনপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাদা পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। দেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দিলে শ্রমিকদের যেসব সুবিধাদি দেওয়ার কথা সেসব কিছুই বলেননি। তাই শ্রমিকরা বিজিএমইএ-এর সামনে প্রথমে অবস্থান নেন। পরে দাবি আদায়ে শ্রমিকরা কলকারখানা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিজিএমইএ’র কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিজিএমইএ‘র দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ মনসুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেখুন আমাদের এসব বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে মানা করা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ