একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর স্বার্থ রক্ষা করে প্রণীত নীতিমালা বাতিল করে সাধারণ ঋণের মতোই সুদের হার নির্ধারণ, গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করে দ্রুত নীতিমালা বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (০৫ আগস্ট) সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ভোক্তা সংরক্ষণ আইন অনুসারে ভোক্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ক্যাবের মতামত নিতে হবে। কিন্তু এ বিধান থাকা সত্ত্বেও সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতর তাদের মতো করে ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ভোক্তা সংরক্ষণ আইনের পরিষ্কার লংঘন।
‘দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক। এরপরও ব্যাংকগুলো এসব গ্রাহকদের কোনো বিষয়কে গুরুত্ব না নিয়ে এখাতে নামে বেনামে বিভিন্ন হিডেন চার্জ যুক্ত করছে। ভোক্তাদের হয়রানির বিষয়ে প্রতিনিয়ত অভিযোগ জমা করলেও তা আমলে না নিয়ে জনগণের পকেট কাটছে। ’
ক্যাব নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও তারা সাধারণ জনগণ ও ভোক্তাদের স্বার্থ না দেখে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীদের স্বার্থে যাবতীয় নীতি প্রণয়ন করেছে। এতে দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হরিলুট হয়েছে। আর এ হরিলুটের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ও কম নয়। ’
বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা অভিযোগ করেন, ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বললেও তা শুভংকরের ফাঁকি ছাড়া কিছু নয়। কারণ কোনো ব্যাংক গ্রাহকের স্থায়ী আমানতের ভিত্তিতে ক্রেডিট কার্ডের আর্থিক ক্রয় সীমা নির্ধারণ করে দেয়।
‘ক্রেডিট কার্ডের অধিকাংশ গ্রাহক মধ্যবিত্ত, সীমিত আয় ও চাকরিজীবী। তাদের ওপর অন্যায়ভাকে সুদের বোঝা চাপাচ্ছে ব্যাংকগুলো। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা আর্থিক খাতে সুশাসনের পরিপন্থী। তাই গ্রাহকদের স্বার্থ চিন্তা করে এই নীতিমালা বাতিল করতে হবে। ’
বিবৃতিতে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সহ-সভাপতি হাজী ইকবাল আলী আকবর ও সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ সই করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
পিআর/এমএ/