রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন।
বৈঠকের শুরুতেই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ থাই বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহযোগিতা করুন।
‘থাইল্যান্ড থেকে ভারত অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশও এ ধরনের সুবিধা চায়। কেননা বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ’
এ সময় বিভিন্ন থাই খাবারের ভূয়সী প্রশংসা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তার এ কথার প্রেক্ষিতে থাই বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, আমরা লুক ইস্ট পলেসিতে (পুবে তাঁকাও নীতি) বিশ্বাস করে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছি।
‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে রফতানি বাড়াতে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ ৩৬ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ’
থাইল্যান্ডের সঙ্গে চাল আমদানির বিষয়ে সমঝোতা
প্রতিবছর ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির বিষয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সফররত থাই বাণিজ্যমন্ত্রী নিজ নিজ পক্ষে সই করেছেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় চাল আমদানি করা হচ্ছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত করা এ চুক্তির ফলে প্রতিবছর প্রয়োজন অনুযায়ী চাল কেনা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, যখন যে বাজার থাকবে সে অনুযায়ী চাল কেনা হবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, এ চুক্তির ফলে আমরা বেশ আনন্দিত। এ চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
বুধবার শুরু হওয়া চতুর্থ জেটিসি সভার প্রথম দিনে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়। শেষদিন হয় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বিকেলে বৈঠক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
কেজেড/এমএ