শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে যশোর শহরের সবজির পাইকারি বাজার বড়বাজার-কালিবাড়ি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, আগের তুলনায় সবজি সরবরাহ কমেছে।
কালিবাড়ি মার্কেটের নূর মোহাম্মদ ভান্ডারের বিক্রেতা নয়ন ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে কাঁচাকলা মানভেদে ১৫ থেকে ১৭ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় রতন ভান্ডারের বিক্রয় কর্মী দেবদুলাল সাহা বলেন, ভারতীয় সরবরাহ কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে পেয়াজের দাম। বর্তমানে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা। তবে তার সরবরাহ বেশ কম।
এদিকে, পাইকারি বাজারের অনুপাতে খুচরা বাজারে সবজির দাম আরও বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতা ইন্তাজ আলী বাংলানিউজকে জানা, পাইকারি বাজারের ১৫ টাকার কাঁচাকলা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। এছাড়া খুচরা বাজারে পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, আমড়া ৩০ টাকা, হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, কঁচুরমুখি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কয়েক দফা দাম বেড়ে বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৬০ টাকায়। আর বরবটি দাম বেড়ে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বড় বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার জামির উদ্দিন, ছমির মোড়ল বাংলানিউজকে বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে পটল ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। মরে যাচ্ছে বেগুনের গাছ। এছাড়া অন্যান্য সবজির উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। ’
একই বক্তব্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের। তারা বলছেন, ভারি বর্ষণে যশোরের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। ফলে, সবজি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশ কম। এজন্য বাজার বেশ চড়া। সামনে সবজির দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে সবজির দাম বাড়লেও যশোরের বাজারে গরু, খাসি, মুরগীর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর কমেছে মাছের দাম। বর্তমানে এক কেজি ভালো মানের গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ৬৫০ টাকা ও পোল্ট্রির মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
ওএইচ/
** বন্যা-বৃষ্টিতে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচে ঝাঁঝ!