শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে চালপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে একরকম অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। কেবল হিসাব-নিকাশ ও গল্পগুজব করেই কাটছে তাদের সময়।
জামান ট্রেডার্সের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৮টায় আড়ত খুলেছেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এক বস্তা চালও বিক্রি করতে পারেননি। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে চালের দাম বেড়েছে। এর পর থেকে ক্রেতা কমে গেছে আড়তে। তবে কেবল তার আড়তেই নয় এ ব্যবসায়ীক দৈন্যদশা চলছে কাদিরগঞ্জ চালপট্টির প্রতিটি চালের আড়তেই।
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের পর থেকে বেচাকেনা কম থাকায় এখনও তারা আগের চালই বিক্রি করছেন। দাম বেশির এটাও একটা কারণ। ভাদ্র মাসে আড়তে নতুন আমন বা অাউশ ধান চাল ওঠলে চালের দাম কমতে শুরু করবে।
এদিকে, রাজশাহী চাল আড়ত সমিতির সভাপতি ও সততা রাইস এজেন্সির স্বত্তাধিকারী সোলাইমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, চালের ওপর থেকে সরকার আমদানি শুল্ক কমালেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। কারণ আমদানি নেই। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দামও কমানো যাচ্ছেনা। এর ওপর ক্রেতা কমে যাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন দেওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। তার পরও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন চাতালগুলোও চালু রাখছেন।
তবে সোলাইমান আলী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আবারও ভারতীয় চাল আসতে শুরু করেছে। এলসির এ চাল পুরোদমে আসাতে শুরু করলে বাজারে দামও কমতে শুরু করবে। এছাড়া বর্ষা গেলে ধানের দামও কমতে শুরু করবে। সব মিলিয়ে আগামী ভাদ্র মাসে চালের বাজারে সস্তি ফিরতে পারে বলেও জানান রাজশাহী চাল আড়ত সমিতির এ নেতা।
আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি এলসির চাল ৪০/৪১, মোটাচাল (গুটিস্বর্ণা) ৪১/৪২, সুমনস্বর্ণা/পারিজা ৪৩, আটাশ ৪৬ ও মিনিকেট ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, এ চালগুলো ১ সপ্তাহ আগেও কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছিল।
এছাড়া মিনিকেট ৮৪ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২শ' টাকা থেকে ৪ হাজার ৫শ' টাকা। ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬শ' থেকে ২ হাজার ৭শ' ৫০টাকায়। ভারতীয় মোটা স্বর্ণা ৮৪ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯শ' ৮০ টাকা থেকে ২ হাজার ১শ' টাকা। আর বাসমতী চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ১শ' ৫০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/