ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজার চড়া, মাছের দামে সামান্য স্বস্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
সবজির বাজার চড়া, মাছের দামে সামান্য স্বস্তি সুমন শেখ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি বোধ করলেও সবজির বাজার নিয়ে যতো কথা ক্রেতাদের। বিগত কয়েক মাস ধরে চাল ও মসলার বাজারে কোনো স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়নি। গত দুই সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণে সবজির বাজার এখন লাগামহীন।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

সবজি বাজারের লাগামহীন দর সম্পর্কে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবজির দাম বাড়ার একমাত্র কারণ প্রবল বৃষ্টিপাত।

বৃষ্টিপাতের কারণে আড়ত ও ঢাকায় নিয়ে আসতে সবজি পচে যাওয়া থেকে শুরু করে জমিতে বিভিন্ন সবজির গাছ মারা যাচ্ছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ঘাটতি হচ্ছে, যার ফলে হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম।
 
সবজির দাম সম্পর্কে কারওয়ানবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরাই সবজির দামের কারণে চিন্তিত। যেখানে সবজির দাম কমে যাওয়ার কথা সেই জায়গায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। কিন্তু কবে নাগাদ সবজির দাম কমতে পারে তাও বলতে পারছি না।
সুমন শেখ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসর্বশেষ সবজির বাজার দর অনুযায়ী, প্রতিকেজি পটল ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, গাঁজর ৫০-৬০, লাউ প্রতিপিস ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা ও প্রতিকেজি বরবটি ৬০-৬৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সব সবজির দামই গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।
 
মাছের বাজারে ক্রেতাদের জন্য খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য না থকলেও কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে বাজার।
 
সর্বশেষ মাছের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী ১ জোড়া ৭’শ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২’শ টাকায়, ৮’শ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ১৬’শ টাকায় ও এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২ টাকা। সাতক্ষীরা থেকে আসা প্রতি কেজি বড় সাইজের গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়, মাঝারি সাইজের বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা ও ছোট সাইজের গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬৫০। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে গলদা চিংড়ির এমন দাম দেখা যায়।
সুমন শেখ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসরেজমিনে দেখা গেছে, শরীয়তপুর থেকে আসা এক কেজি ওজনের রুই মাছ কারওয়ানবাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, ২-৩ কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। কারওয়ানবাজারে কাতল মাছ যথাক্রমে ২০০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়মনসিংহের পাবদা ও পাঙ্গাশ মাছ কেজিপ্রতি যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ ও ১১০ টাকা কেজি। এছড়া তেলাপিয়া মাছ ১২০ টাক কেজি, কইমাছ ১৫০ টাকা কেজি ও শিং মাছ ৩৬০-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের দাম নিয়ে কারওয়ানবাজারে মাছ বিক্রেতা সুনীল দাশ বাংলানিউজকে বলেন, মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। সুমন শেখ-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতবে মাংসের বাজার দর রয়েছে আগের‍ মতোই। সর্বশেষ বাজার দর অনুযায়ী প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। এছাড়া প্রতিপিস বড় কক পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা এবং প্রতিপিস ছোট কক পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

** আমদানি কমায় বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএসি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।