ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতীয় মরিচ আসায় কমেছে কা‍ঁচামরিচের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
ভারতীয় মরিচ আসায় কমেছে কা‍ঁচামরিচের দাম যাত্রাবাড়ী বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন পাইকারি বিক্রেতারা- ছবি: শাকিল

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজর ঘুরে: বর্ষায় কেজি চারশ' ছাড়িয়ে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। টানা বৃষ্টি না থাকা ও ভারতীয় মরিচের আমদানি হওয়ায় রসনার অন্যতম এ অনুষঙ্গের দাম পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি সপ্তাহে বাজারে কাচামরিচের সরবরাহ বেশি। তাছাড়া গেলো সপ্তাহে টানা বৃষ্টিও ছিলনা।

অন্যদিকে বাজারে এসেছে ভারতীয় কাঁচামরিচ। তা কেজিতে ৬০ থেকে একশ টাকা পর্যন্ত দাম কমে পাইকারিতে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে এ পণ্য বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর অন্যতম পাইকারি কাঁচাবাজার যাত্রাবাড়ী ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে কাঁচামরিচের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। দেশি মরিচের পাশাপাশি ভারতীয় মরিচ আছে। পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। আর ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছ ৬০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

কাঁচামরিচ বেপারি মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণ ক্ষেতে মরিচ নষ্ট হচ্ছে তাই কৃষকরা তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। একসঙ্গে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম পড়ে গেছে। তাছাড়া দাম কমার অন্যতম কারণ বাজারে ভারতীয় মরিচ আসা।

গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা টাকা পর্যন্ত পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।

তার সঙ্গে যোগ করে ব্যবসায়ী মো. ইসমাঈল বলেন, একদিনেই কমে গেছে মরিচের দাম। গতকালও ১১০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে কাঁচামরিচ।   হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। কারণ মোকাম থেকে তো তারা বেশি দামে কিনেন এ পণ্য।

এদিকে যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারে কাঁচামরিচ খুচরায় কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। দামের হেরফের প্রসঙ্গে খুচরা বিক্রেতা আ. আলিম বলেন, মরিচ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবহন ও লেবার খরচ  আছে। তাই এর কম বিক্রি করলে পুষে না।

বাজারে কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন ২৫  থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫, আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০, কচুরমুখি ২৫, ঝিঙ্গা ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারের তুলনায় এখানে মরিচসহ প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৩০ টাকা বেশি। এখানে কাকরোল ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৩০, পটল ৩০, ঢেঁড়স ২৫-৩০, করলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা মো. আরিফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি ও বন্যায় ফসল নষ্ট হয়েছে, তাই দাম বাড়তি।

প্রতি সপ্তাহে সবজি কেনেন—এমন একজন ক্রেতা বেসরকারি ব্যাংকার সেলিমুল ইসলাম। তিনি বলেন,  বাসার জন্য প্রতিদিন বাজারে আসতে পারি না। তাই ছুটির দিনে সারা সপ্তাহের বাজার করি। প্রতিটি সবজির দাম বেশি এখানে। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোনো সবজিতে গেল সপ্তাহ থেকে দাম কম। ’

আরেক ক্রেতা গোলাপবাগ এলাকার ব্যবসায়ী মাজেদুল হক বলেন, বর্ষার সবজি বাজারে আছে, তবে দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা তো বলছেন বন্যার কারণে দাম বেশি। তবে বন্যা কমে গেলে তারা অন্য অযুহাতে আবার দাম বেশি রাখেন। দাম কমে না, বাড়তেই থাকে।

যাত্রাবাড়ী সবজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। তবে মাঝেমাঝে দাম বেড়ে যায়। তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারকে অস্থিতিশীল করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।