ওজন ও সাইজ বুঝে রুই ও কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে সিলেটের বাজারে। কাতল মাছ মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা, একই দাম রুই মাছেরও।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে সিলেটের বৃহৎ মাছের আড়ত কাজিরবাজার ঘুরে এমনটি দেখা গেছে।
বাজারের মেসার্স আরিফ মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক কালিপদ সেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন হাওরের রুই-কাতলা নেই। বাজারে যা আছে সবই রাজশাহী থেকে আমদানি করা। এটাকেই দেশি রুই-কাতল বলা হয়। সেই সঙ্গে বার্মিজ রুই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর ইলিশ বলতে চানপুরী (চাঁদপুর) ইলিশের নামে বিক্রি হচ্ছে চট্রগ্রামের ইলিশ কেজি ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা।
এ আড়তে কাতল মাছ ৮শ’ গ্রাম ওজনের ৩ থেকে ৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৪ থেকে ১৫শ’ টাকা কাতলার পিস। তাতে কেজি তিন থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা পড়ে বলেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা কেজি বার্মিজ রুই।
মকবুল মৎস্য আড়তের রমেন্দ্র চন্দ্র কুমার বাংলানিউজকে বলেন, বার্মিজ রুই ডিমসহ ১৭০ এবং ডিম ছাড়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের সবচেয়ে বড় ইলিশ মাছের আড়ত রাকিব ও আহমদ হোসেন মৎম্য আড়তেও নেই চাঁদপুরের ইলিশ মাছ। আছে চট্রগ্রামের ইলিশ। বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই ইলিশ বিক্রি হয় হাজার, ১২শ’ টাকায়। এছাড়া চন্দনা ইলিশ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায় পাশ্ববর্তী আমির মৎস্য আড়তে।
এরআগে বাজারের প্রবেশদ্বারে ঢুকতেই ড্রামে কৈ মাছ নিয়ে দাঁড়ানো মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কৈ মাছ আমদানি করা হয় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে। কেজি প্রতি বিক্রি করেন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। একই স্থান থেকে আমদানি করা পাঙ্গাস মাছ ৪ হাজার টাকা মন ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
বিরু মিয়া মৎস্য আড়তের আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন মাছের বাজার স্থিতিশীল আছে। তবে দেশি মাছ কম। বেশির ভাগ মাছ রাজশাহী অঞ্চলের। আর ইলিশ চট্রগ্রামের। পাইকারি বাজারে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হওয়া রুই মাছ খুচরা বাজারে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ বা তারও বেশি বিক্রি হচ্ছে।
** চালকল মালিকদের সিন্ডিকেটে অস্থির চালের বাজার
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এনইউ/জিপি