মাছের বাজার কতক্ষণ চলবে? জানতে চাইলে কাজিরবাজার মাছের আড়তের ব্যবসায়ী সোহেল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘যতক্ষণ মাছ, ততক্ষণ বাজার। ’ এ আড়তে যতক্ষণ মাছ আছে, ততক্ষণই মানুষ পাবেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) কাজিরবাজার মৎস আড়ত ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এখানকার মাছের আড়তকে কেন্দ্র করে জড়িত অনেকের জীবন-জীবিকা। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের কর্মখানা এই মাছের আড়ত। এখানে কেউ বরফ টানছেন, কেউবা বরফ ভাঙছেন। আবার কেউ মাছ কেটে করছেন জীবিকা নির্বাহ।
এছাড়া পিকআপ ভ্যান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ যুক্ত রয়েছে এ আড়তে। রয়েছে ঠেলাগাড়িসহ রিকশা চালকরাও। তাই আড়তকে ঘিরে ভিড় লেগেই থাকে সব সময়। এখান থেকে বিক্রি হওয়া মাছ ছড়িয়ে পড়ছে নগর থেকে নগরে।
আড়তের মাছ ব্যবসায়ী মিঞ্জু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন হাওরের মাছ আসে এখানে। সিলেট ছাড়াও রাজশাহী, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ নিয়ে আসেন ব্যাপারীরা। পরে নিলামে বিক্রির মাধ্যমে সিলেট নগরীর আম্বরখানা, লালবাজার, জালালী মার্কেট, মদিনা মার্কেট, রিকাবিবাজারসহ সব বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আড়তের খুচরা ব্যবসায়ী লালবাজারের রূপন নাথ বলেন, ‘কাজিরবাজার আড়তে মাছের দাম বেশি থাকলে নগরীর অন্য বাজারেও দাম বাড়বে। ’ শুক্রবার মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে দাবি করলেও এখান থেকে কিনে নেওয়া মাছ একটু চড়া দামেই বিক্রির কথা বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেন রূপন নাথ। অবশ্য কারণ হিসেবে পরিবহণ খরচকেই উল্লেখ করেন তিনি।
কাজিরবাজার মাছের আড়তে সবসময় মাছ মিলে এমনটাই দাবি এখানকার মাছ ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এনইউ/এসআরএস