পণ্যে দু’টির দামের উত্তাপের ফলে ভাতের বদলে রুটি খাওয়ার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হচ্ছে অনেককেই। এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লবণের বাজারও হয়ে উঠেছে নিয়ন্ত্রণহীন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) নগরীর বৃহৎ মেছুয়া বাজার ঘুরে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারের নিউ জঙ্গল বারী স্টোরের বিক্রেতা মাসুদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এক বস্তা ময়দার (৭৪ কেজি) দাম এক সপ্তাহ আগেও ছিল এক হাজার টাকা। এখন সেই একই বস্তার দাম গিয়ে ঠেকেছে ১ হাজার ১২০ টাকায়।
একই বাজারের ছালাম স্টোরের ম্যানেজার সাদেক তালুকদার বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির ময়দার প্রতি বস্তায় (৭৪ কেজি) দাম বেড়েছে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা।
তিনি আরও জানান, ময়দার পাশাপাশি বেড়েছে আটার দামও। বিভিন্ন কোম্পানির আটার প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে ১শ’ টাকা থেকে ২শ’ টাকা।
আটা-ময়দার দামের এমন লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির জন্য পরিবহন খরচকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করান তিনি।
কোরবানির ঈদে গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণে লবণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ায় সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এ পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। মাত্র ক’দিন আগেও প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) লবণের দাম যেখানে ছিল ১ হাজার ২শ’ টাকা। এখন সেই একই বস্তা কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৪শ’ টাকায়। ঈদের আগে দাম আরও বাড়বে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
কী কারণে লবণের বাজার তেতে উঠেছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছালাম স্টোরের ম্যানেজার সাদেক তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আগে লবণের গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ পড়তো ২০ হাজার টাকা। এখন সেই খরচ ৩৫ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। এ কারণে বাধ্য হয়েই চড়া দামে লবণ বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সময়কার নিয়ন্ত্রণহীন চিনির বাজারের রাশ টেনে ধরা হয়েছে। কেজিতে চিনির দাম কমেছে ৫ টাকা। ৯০ টাকার সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা। আর ১শ’ টাকার মসুরের ডাল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএএএম/এসআরএস