পোশাক শিল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীটির শেষ দিন ছিল শনিবার (১২ আগস্ট)। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত একই ভেন্যুতে এই প্রদর্শনীটি আয়োজিত হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
শনিবার (১২ আগস্ট) প্রদর্শনীর শেষ দিনে অংশ নেয়া দেশি ও বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্টলে ঘুরে দেখা যায় সকলের মুখেই সফলতা ও তৃপ্তির হাসি। আনন্দের সাথেই শেষদিনে দর্শনার্থীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন সবাই। এছাড়া ব্যবসায়িক লেনদেন কিংবা আলোচনা ছাড়াও খোশগল্পে মেতে থাকতে দেখা গেছে তাদের অনেককে।
ওয়েনঝৌ লিজেন্ড ননওভেন টেক. কো. লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক লাইডিয়া বাংলানিউজকে জানান, আমরা আগামীবার আবার আসবো। এবার আমরা ব্যাপকভাবে সফল। তবে আমরা কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি কারণ আমাদের দোভাষী ছিল না। দোভাষী থাকলে আমাদের কাজের আরও সুবিধা হবে বলে আমরা এবার অনুভব করেছি। আগামীবার আমাদের দলের সাথে একজন দোভাষী থাকবে।
প্রদর্শনীর ৪ নম্বর প্রিমিয়াম হলে কিংডাও হিসেয়া কেমিক্যাল কো. লি.-এর এক্সপোর্ট ম্যানেজার কিটি বলেন, আমাদের স্টল দোতলায় তাই আমরা কিছুটা কম দর্শনার্থী পেয়েছি। তবে আমাদের যে লক্ষ্য ছিল তা পূরণ হয়েছে। আমরা এই প্রথমবার এসেছি। আর বাংলাদেশ খুব ভালো লেগেছে, আমরা আবার আসবো। এখানে ব্যবসা উপযোগী পরিবেশ আছে।
নিংবাও রুহনি হাইটেক ম্যাটেরিয়ালসের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আমিন বাংলানিউজকে জানান, আমি চাইনিজ কোম্পানিতে কাজ করি। তাদের সারা বিশ্বে ব্যবসা বিস্তৃত। এই প্রদর্শনী উপলক্ষে তারা বাংলাদেশে এসেছিল। আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় তাদেরকে আমি সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। এখানকার ব্যবস্থাপনা অনেক সুন্দর। আর শুধু প্রদর্শনীই না এই কনভেনশন সিটিটাও আন্তর্জাতিক মানের। আজকেই আগামী বছরের প্রদর্শনীর জন্য স্টল বুকিং দিচ্ছে আমার চাইনিজ বসরা।
প্রদর্শনীটির আয়োজক কমিটি সেমস গ্লোবালের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান আবু নাঈম মো. শরীফ অপূর্ব বাংলানিউজকে জানান, প্রদর্শনীর শেষের দিনেই আগামী বছরের জন্য বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন এবার অংশ নেয়া তৈরি পোশাক শিল্পখাতের বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানিগুলো। তাদেরকে খুশি করতে পেরে আমরা সার্থক। এবার সর্বমোট ১৮ হাজার দর্শনার্থী এই চার দিনে প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছে। এবার ১৪০০ স্টল ছিল, তবে প্রয়োজনে ও সম্ভব হলে আমরা সামনের বার স্টলের সংখ্যা বাড়াতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হলরুমগুলোর দোতালায় স্টল দেয়ার কোন পরিকল্পনাই ছিল না আমাদের। কিন্তু এই কোম্পানিগুলোর অনুরোধেই আমরা ব্যবস্থা করেছিলাম। এ জন্য নিচতলা দিয়ে হলরুমে দর্শনার্থীরা ঢুকলেও তাদের দোতলার গেট দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। আর পানির যে সমস্যা ছিল, তা শুধু প্রথমদিনই ছিল। এরপর তা আর দেখা যায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এমএএম/আরআই