কাস্টমস অ্যাক্ট-১৯৬৯ এর সেকশন ৩ (ক)-এ চিফ কমিশনার অব কাস্টমস এবং মূল্য সংযোজন কর আইন-১৯৯১ এর ধারা ২০ এর (১) (ক) (ক)-এ চিফ কমিশনার অব ভ্যাট পদ রয়েছে। এ দুটি পদ সৃষ্টি করা হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্যাট ও কাস্টমস উইংয়ে কাউকে পদায়ন করেনি।
জানা যায়, চিফ কমিশনার অব কাস্টমস ও চিফ কমিশনার অব ভ্যাট পদ দুটির পদমর্যাদা কিংবা সকল সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতার বিষয়টি এখনও সুনির্দিষ্ট হয়নি। পদ দুটির কাজ কী, কীভাবে কাজ করবে কিংবা কার অধীনস্থ হয়ে কার্যপ্রণালী সম্পাদন করবে সেটারও কোনো অগ্রগতি কিংবা কোনো খসড়া করা হয়নি।
অন্যদিকে কমিশনার পদটি যুগ্মসচিব এবং মেম্বার পদটি অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার। এছাড়া মেম্বারদের মধ্যে সবেচেয়ে সিনিয়র দুজন হবেন গ্রেড-১ কিংবা সচিব পদমর্যাদার। সৃষ্টি হওয়া চিফ কমিশনার অব কাস্টমস ও চিফ কমিশনার অব ভ্যাট পদ দুটি কমিশনার ও মেম্বার পদের মাঝামাঝি। সেহেতু এ পদ দুটি যুগ্মসচিব নাকি অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার তা নিয়েও এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
২০১১ সালে পদ দুটি সৃষ্টি হওয়ার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাউকে এসব পদে পদায়ন করতে পারেনি। তেমনিভাবে কমিশনাররাও পদোন্নতি পেয়ে চিফ কমিশনারের পরিবর্তে সরাসরি মেম্বার হতে আগ্রহী হয়েছেন। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এই পদ দুটিতে যদি কাউকে পদায়ন না-ই করা হয় তাহলে পদ দুটি কেন সৃষ্টি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পদ দুটি সৃষ্টি করা হলেও এনবিআর এটা নিয়ে কোনো কাজই করেনি। এমনকি এই পদের কোনো খসড়াও এখনো করা হয়নি। ফলে পদ দুটির কী কাজ কিংবা কীভাবে পদায়ন কর্মকর্তা কাজ করবেন সেটা সম্পর্কেও কেউ জানেন না। তবে সবচেয়ে দুভার্গ্য হচ্ছে, এনবিআর দুটি পদেই এখনো কাউকে নিয়োগ দেয়নি।
কিন্তু কেন নিয়োগ দেয়নি আর কেনই বা পদ দুটির খসড়া হচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মাঝে মধ্যে শোনা যায় হবে, কিন্তু পরে আর হয় না। কেন হচ্ছে না সেটা চেয়ারম্যানই ভালো বলতে পারবেন। পদ দুটি এখন শুধু খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করছেন। নতুন কাস্টমস ও ভ্যাট আইনের খসড়ার কাজ চলছে। ফলে নতুন আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পাশাপাশি একটি পদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। আমরা এ দুটি পদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আশা করি অচিরেই এর সমাধান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ