মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশ মাছ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় অন্য মাছের দাম বেড়েছে। অনেক নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ থাকায় সরবরাহও কমেছে।
ফলে গত তিনদিনে মাছের বাজারে পরিবর্তন এসেছে।
সোমবার (০২ অক্টোবর) কারওয়ানবাজার, মিরপুর, ফার্মগেটসহ রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় মাছের সরবরাহ কম। বড় কাঁচাবাজারগুলোতে অনেক বিক্রেতা মাছের অভাবে দোকানও খোলেননি। সরবরাহ কম ও ইলিশ বিক্রি বন্ধ থাকায় মাছের দাম বেড়ে গেছে।
ক্রেতাদের দাবি, গত তিন চারদিনের ব্যবধানে মাছের দাম কেজিপ্রতি ৭০/৮০ টাকা করে বেড়েছে। তবে কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ২৫০-৪০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ টাকা, বড় সাইজের কাতলা ৪৫০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, চিংড়ি গলদা বড় সাইজ ৭০০-৮০০ টাকা, দেশি ছোট টেংরা মাছ ৫০০ টাকা, বড় সাইজ ৭০০ টাকা, মাঝারি সাইজের বোয়াল ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা, পুঁটি ৪০০ টাকা, গুঁড়ো চিংড়ি ৪০০ টাকা, দেশি কই ৮০০ টাকা ও মলা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর -৬ নম্বর কাঁচাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী বাশার বাংলানিউজকে বলেন, কথা সত্য, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে মাছের দাম বেড়েছে। অন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ না হলেও ইলিশের কারণে জেলেরা নদীতে জাল ফেলতে পারছেন না। এ কারণে বাজারে নদীর মাছের সরবরাহ কমে গেছে। এখন বাজারে বিল-ঝিল ও পুকুরের মাছ। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।
এ বাজারে মাছ কিনতে আসা ঠিকাদার গিয়াসউদ্দিন বলেন, বাজারে ইলিশের প্রভাব পড়েছে। ইলিশ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় অন্য মাছের চাহিদা বেশি, বিক্রেতারা দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। দেশি মাছগুলোর দামই বেশি বেড়েছে।
কারওয়ানবাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ইলিশের প্রভাব মাছের বাজারে। নদীর মাছ একবারে কম। বাজারে মাছ কম হলে দাম তো বাড়বেই। এরপরও এখনও ততোটা বাড়েনি।
এ বাজারের ক্রেতা মো. মানিক বলেন, ‘বাজারে মাছ কম, দামও অনেক বেশি। গত সপ্তাহে যে মাছ কিনেছি ৪৫০ টাকা কেজিতে, সেটি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এমসি/এএসআর