লাইসেন্স না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য এই পদক্ষেপ।
রোববার (০২ অক্টোবর) সচিবালয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (আরসি ফুড) সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
‘কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট-১৯৫৬’ অনুযায়ী চাল ও গম ব্যবসায়ীদের খাদ্য মজুতের নিয়ম তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক মেট্রিক টনের ঊর্ধ্বে খাদ্যশষ্য মজুতের ক্ষেত্রে অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পারলাম অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী যারা তেল, চিনি ও আটার ব্যবসা করেন তারা চালেরও ব্যবসা করেন। আমাদের কাছে অনেকের লাইসেন্স আছে, অনেকের নাই। এরাই সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন সময় তেল-চিনির দাম বাড়ায়। আমাদের কাছে তাদের লাইসেন্স থাকতে হবে এবং তাদের পরিষ্কার পাক্ষিক হিসাব দিতে হবে।
“অ্যাক্টের ব্যাপারে আমাদের আরসি ফুড, ডিসি ফুডরা এতো দিন পর্যন্ত একটু নেগলিজেন্সি করেছে। তাদের অজ্ঞতার কারণে হোক, বিভিন্ন কারণে তারা ঠিকভাবে আইনটি কার্যকর করে নাই। ”
অ্যাক্টের বিধান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একজন মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, আমদানিকারক, খুচরা ব্যবসায়ীদের খাদ্য অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
“অ্যাক্ট অনুযায়ী, ওই সমস্ত লাইসেন্স থাকার পরও খাদ্য অফিদফতর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এবং একজন মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, আমদানিকারক, খুচরা ব্যবসায়ীদের স্থানীয় ডিসি ফুড অফিসে পাক্ষিক হিসাব দিতে হবে। তারা সেটা করে না, ইগনোর করেন। তারা যদি আইনে মজুত ও আমদানির হিসাব না দেন তাহলে তিন বছরের জেলসহ জরিমানার বিধান আছে। ”
মন্ত্রী বলেন, আজকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমদানিকারক, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। ১৫ দিন পর পর রিপোর্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক। আরসি ফুড, ডিসি ফুডদের বলে দিয়েছি, তারা আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের নোটিশ করবেন। না হলে জেলা প্রশাসক ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের বিধান অনুযায়ী অফিসারদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
বেআইনি মজুত করে সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ইনশাআল্লাহ তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, অকাল বন্যার সুযোগ নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আর কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। আর কোনোভাবে যাতে সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
পত্রিকায় ভারতের চাল আমদানি বন্ধের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন এবং শতাব্দীর সেরা বন্যার খবরে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরাও আমাদের শত্রু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এতে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং দাম বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন না করতে সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭/আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ