বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে চলতি সপ্তাহে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেশে কার্যরত ১৮ টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে বিকাশের ২ হাজার ৮৮৭টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসব এজেন্টের অধিকাংশই রকেটসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। তাই বিকাশের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লেনদেন বন্ধ করার পর তারা অন্য অ্যাকাউন্ট দিয়েও সন্দেহজনক লেনদেন করছেন।
বিষয়টি নজরে আসার পর ওই এজেন্টদের নামে রকেটসহ যেসব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট ও অ্যাকাউন্ট আছে তা বন্ধ করে বিএফআইইউ-কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বেশকিছু দিন ধরে বৈধপথে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানো কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। আর বৈধপথে রেমিটেন্স কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি প্রতিনিধিদল কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব যান।
আরও পড়ুন>>
** সন্দেহজনক মোবাইল ব্যাংকিং, নজরদারিতে রকেট এজেন্টরা
এসব দেশে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘বিকাশ’ এবং ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রকেট’ এর নাম ব্যাবহার করে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের রেমিটেন্সের অর্থ গ্রহণ করতে দেখেছেন।
তারা বলেছেন, অনিয়মের অভিযোগে যেসব বিকাশ এজেন্টদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত তাদের রকেটসহ সব এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া। তাহলে বৈধপথে রেমিটেন্স কিছুটা হলেও বাড়বে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিকাশ এজেন্টের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পর রকেটসহ অন্যান্য এজেন্টও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ায় বিকাশের বন্ধ করা এজেন্টদের কাছে থাকা সব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান বিকাশ। পরের অবস্থানে ডাচবাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’। এছাড়া ইউক্যাশ, শিওরক্যাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ, ফার্স্ট পে, ওকে ব্যাংকিং, হ্যালো, মোবাইল মানি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে গ্রাহকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর: ৪, ২০১৭
এসই/এমএ