শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকস কার্যালয়ে ইসলামী ব্যাংকিং শিল্পের অগ্রগতিতে মিডিয়ার ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম আযীযুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচলিত (কনভেনশনাল) ব্যাংকিং বিষয়ে পড়ানো হয়।
তিনি বলেন, আমানত ও ঋণ বিতরণে সাধারণ ব্যাংকিংয়ে আগেই সুদ ঘোষণা করা হয়। আর ইসলামী ব্যাংকিংয়ে বছর শেষ হিসাব করে মুনাফা শেয়ার করার কথা বলে। বাস্তবে সেটি করতে পারেনা।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে আমানতের সুদহার ৫ শতাংশ কিন্তু ইসলামী ব্যাংক হিসাব করে দেখলো তাদের হয়েছে ৪ শতাংশ। তখন নিজেরটা বাদ দিয়ে বাজারের রেট তাদের দিতে হয়। একই ভাবে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে এটি করতে হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম আযীযুল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক বেশি হওয়ায় সেভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক ১ কোটি ২০ লাখ। মোট গ্রাহকের ২৫ শতাংশ। প্রচলিত ব্যাংকিং গ্রাহক বাকি ৭৫ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে ৯ লাখ কোটি টাকার ডিপোজিট। ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করে মাত্র ১ শতাংশ গ্রাহক। ব্যাংকিংয়ে মধ্যম শ্রেণির অর্থ উচ্চ শ্রেণির কাছে ঋণ হিসেবে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে ছিল ৪ হাজার কোটি ও ১৯৪৭ সালে ছিল মাত্র ৯৭ কোট টাকা। কারণ পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সুপার পারফরমেন্সের কারণে গ্রহণযোগ্য হওয়া, আমরা গ্রহন করেছি কুরআনে বলা সুদকে হারাম করার কথা বলার কারণে।
সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল এ কিউ এম ছফিউল্লাহ আরিফের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর সম্মানিত ভাইস-চেয়ারম্যান একেএম নুরুল ফজল বুলবুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এসই/বিএস