এছাড়াও তাদের নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ১০লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গবাদিপশু রাখার কিল্লা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস পরবর্তী গত এক সপ্তাহে নোয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫শ’ জীবিত মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকদের একজন পাটারিরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফিরোজ বাঘা সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বাংলানিউজের জানান, ১১ জন মালিকের প্রায় ৭ শতাধিক গরু-মহিষ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। এরমধ্য থেকে প্রায় ৫শ’ মহিষ উদ্ধার হয়েছে। তবে গরু, বাছুর, গর্ভবতী মহিষ ও মহিষের বাচ্চাগুলো তীব্র জোয়ারের আঘাতে মারা গেছে। ওই সব মরা গরু-মহিষ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে কারণে দেড় শতাধিক গরু-মহিষ পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত।
গরু-মহিষ মালিক নুরনবী বাঘা ও জামাল বাঘা বাংলানিউজকে জানান, ভোলা, চাঁদপুর ও নোয়াখলীর উপকূল দিয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন মহিষ উদ্ধার করে। এভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫ শতাধিক মহিষ উদ্ধার হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফিরোজ বাঘার ১৫টি মহিষ, ৫টি গরু; নুর নবী বাঘার ৫টি মহিষ, ৬টি গরু; জামাল বাঘার ১১টি মহিষ, ৩টি গরু; আনোয়ারুল ইসলাম হাওলাদারের ১০টি মহিষ, ৪টি গরু; সফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ৬টি মহিষ, ১০টি গরু; জসিম উদ্দিনের ৬টি মহিষ, ৪টি গরু; জামাল উদ্দিনের ৫টি মহিষ; সালাহ উদ্দিনের ৫টি মহিষ; দুলালের ৫টি মহিষ, ১৫টি গরু; শাহ আলমের ৬টি মহিষ, ৫টি গরু; আলাউদ্দিনের ২টি মহিষ ও ৪টি গরুর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কমলনগর মহিষ খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ জন মালিকে প্রায় দেড় শতাধিক গরু-মহিষের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতে ওই সব খামারিদের প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করা হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাতে কমলনগর উপজেলা চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষ কিল্লা থেকে জলোচ্ছ্বাসে ৬শ’ মহিষ ও ১শ’ গরু ভেসে যায়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় গবাদিপশু রাখার কিল্লা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
জিপি