শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।
শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের স্বীকৃতি হিসেবে এবং অন্যান্য মালিকদের মধ্যে কলকারখানায় শোভন কর্মপরিবেশের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে কমপ্লায়েন্স এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপনের দিন প্রথমবারের মতো একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩২৩ ধারার ক্ষমতাবলে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল গঠন করে। পদাধিকার বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এর চেয়ারম্যান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সদস্য সচিব। এ কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ২৯।
সভায় কাউন্সিলের খসড়া কার্যবিধি উপস্থাপন করে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী সভায় প্রস্তাবিত কার্যবিধি চূড়ান্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন করছে। বাংলাদেশ কলকারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিনফ্যাক্টরির ৭টিই বাংলাদেশে। এ অর্জন আমাদের গর্বের। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত চার বছরে দেশের কলকারখানা বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে কারখানাগুলোতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে উঠছে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূইয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিজিএমই- বিকেএমইএ’র প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস