ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬২.১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সোমবার অনুমোদিত ব্যাংকের ২০০৯-১০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই আর্থিক হিসাব অনুমোদিত হয়।
অনুমোদিত হিসাব অনুযায়ী গত অর্থবছরে (২০০৯-১০) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক হাজার ৬শ’ ৩৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আয় করেছে ও মোট ব্যয় হয়েছে ৬শ’ ৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এসময়ে ব্যাংকের মোট পরিচালন মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৯শ’ ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের (২০০৮-০৯) তুলনায় ৬২.১৩ শতাংশ কম। ওই অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক মোট দুই হাজার ৫শ’ পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফা কমে যাওয়ার পাশাপাশি আয় ও ব্যয় কমেছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ব্যাংকের মোট আয় ও ব্যয় ছিল যথাক্রমে তিন হাজার ২শ’ ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং ৭শ’ ৩৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয় ও ব্যয় কমেছে যথাক্রমে ৪৯.৪৬ এবং ৬.২ শতাংশ।
আর্থিক বিবরণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ কমে যাওয়ায় সুদ খাতে ৫২ শতাংশ এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ খাতে সুদের হার কমে যাওয়ায় এ খাতে ৪০ শতাংশ আয় কমে যাওয়ার কারণে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয়ও কমে গেছে। বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের পরিবর্তন জনিত কারণে দুই হাজার আট কোটি ৫৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতির ওপর প্রদত্ত সুদ ব্যয়, এশিয়ান কিয়ারিং ইউনিয়নের লেনদেনের ওপর সুদ ব্যয়, আইএমএফ খরচ, এজেন্সি খরচ ও রিভার্স রেপোর সুদ ব্যয় কমে যাওয়ায় এবার একশ’ ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। তবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ বাস্তবায়িত হওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আর্থিক বিবরণী অনুয়ায়ী অর্জিত মুনাফা থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হবে ৬শ’ দশ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (পাওনা অর্থ কর্তনের পর)। এটা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬৪.৬৭ শতাংশ কম।
মুনাফা থেকে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আড়াই মাসের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস প্রদানের বিষয়টিও সভায় অনুমোদিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট, ২০১০