ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতে বাজার সৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি জোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১০

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে লাভজনক ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংক্রান্ত এক গোল টেবিল বৈঠকে বিশষজ্ঞ বক্তারা এ পরামর্শ দেন।

 

তারা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশে মনমোহন সিংয়ের আগামী সফরের আগেই তিস্তার পানি বন্টন, টিপাইমুখ বাঁধ, সমুদ্রসীমা এবং সীমান্ত সমস্যা ও শুল্কমুক্ত পণ্যের বাণিজ্য বিষয়ে অবশ্যই একটি সমাধান হওয় উচিত।

দৈনিক ভোরের কাগজের আয়োজনে ‘প্রণব মুখার্জির সফর: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রভাব’ শীর্ষক ওই গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দৈনিকটির সম্পাদক শ্যামল ভট্টাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ভারতের সঙ্গে যে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি করেছিল বর্তমান সরকার সে বিষয়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে ঋণ চুক্তি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অর্থ আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করবে।

ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ভারতের ব্যবহারের জন্য আশুগঞ্জ বন্দর উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ওই প্রকল্প থেকে ভারতের কাছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি করবে সরকার।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে বাংলাদেশেল ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের হিসাব করতে হবে ভারতের বাজারে কোন কোন পণ্যের চাহিদা দীর্ঘস্থায়ী। সেই পণ্যগুলো দেশে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিন চীন-ভারত-বাংলাদেশ এই তিন দেশিয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

প্রকাশিতব্য ডেইলি সানের সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। সম্রাট শেরশাহ সোনারগাঁ ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ১৫৪০ সালে। এখন যারা এ বিষয়ে বিরোধীতা করেন তারা শের শাহের চেয়েও পিছিয়ে পড়া মানুষ।

এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট একে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় শুধু উুত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলোতে নয়, পুরো ভারতের বাজারেই পণ্য রপ্তানি করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এম রহমতুল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, কলামিস্ট জগলুল আহমেদ চৌধুরী, রাষ্ট্রদূত শফিউল্লাহ প্রমুখ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।