অথচ দু’তিনদিন আগেও নেত্রকোনায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পৌষ-মাঘের দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে দাম কমে আসবে।
সরেজমিনে গেলে শহরের মেছুয়া বাজারের কামরুল ইসলাম ও দয়াল শাহ্ বাংলানিউজকে জানান, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি নেই। আড়তদারদের কাছে যা ছিলো, তাও শেষ পর্যায়ে। বেশি দামে কেনার কারণেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি বা দাম চাইতে গিয়ে ক্রেতাদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলেও দাবি ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
আড়তদার হেলাল খান ও মুসলেম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় লাগামহীন দামের এ ঊর্ধ্বগতি। বেশি দামে আমদানি করায় স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেন তারাও।
ক্রেতা নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন বলেন, যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে পেঁয়াজ খাওয়াই মনে হচ্ছে বন্ধ করে দিতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তা হাসান তারিকুর রিফাত বলেন, যে হারে পেঁয়াজ-মরিচের দাম গুণতে হচ্ছে, এভাবে চলা কোনোভাবে সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত আর নিম্মবিত্তরা কোথায় যাবে? দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।
কবি শিমুল মিলকী বলেন, ‘আমরা সাধারণ পাবলিক সেটাই বিশ্বাস করছি, যা ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বলছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বাজার মনিটরিং করা উচিৎ। পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রকৃত কারণ জেনে ব্যবস্থা নিতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এএসআর