মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একই ক্যাম্পাসে মুসলিম ইনস্টিটিউট, শহীদ মিনার, গণগ্রন্থাগার স্থাপন ছাড়াও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে নির্মাণ করা হবে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স।
এটিসহ একনেক সভায় মোট ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর মোট ব্যয় ১০ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন (ময়মনসিংহ জোন)’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটির আওতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলায় নতুন উপ-কেন্দ্র নির্মাণসহ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বিশাল উন্নয়ন সাধিত হবে।
রোহিঙ্গাদের আবাসন সংকট নিরসনে ‘আশ্রয়ন-৩’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দিয়েছে একনেক সভা। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আবাসন ও দ্বীপের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলায় গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ’, ৭৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি’ প্রকল্প এবং ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাট নির্মাণে তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
অনুমোদিত ‘শেরপুর জেলার সড়ক মজবুতকরণ’ প্রকল্পে ৮২ কোটি টাকা, ‘কুমিল্লা শহরের শাসনগাছ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ’ প্রকল্পে ৯৪ কোটি টাকা, ‘সিরাজগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৪৪৬ কোটি টাকা, ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৫৩ কোটি টাকা এবং ‘নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলায় ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন’ প্রকল্পে ১৪৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর