ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবারও আন্দোলনে নামছেন দিনাজপুরের আলুচাষীরা

সানি সরকার, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০
আবারও আন্দোলনে নামছেন দিনাজপুরের আলুচাষীরা

দিনাজপুর: হিমাগারে পচে যাওয়া আলুর তিপূরণ দিতে গড়িমসির প্রতিবাদে আবারও আন্দোলনে নামছেন দিনাজপুরের আলুচাষীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসকাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে আগামী সোমবার উত্তরা হিমাগার ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

ক্ষতিপূরণ প্রদান করা না হলে প্রয়োজনে রাজপথ অবরোধ করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তিগ্রস্ত আলু চাষী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন, চেহেলগাজী কৃষক কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আলতাফ হোসাইন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক রবিউল আওয়াল খোকা প্রমুখ।

তারা বলেন, ‘উত্তরা হিমাগারের তিগ্রস্ত আলুচাষীদের তিপূরণ দিচ্ছেনা কর্তৃপ। গত ২ মে’র চুক্তি অনুযায়ী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তিগ্রস্ত সব আলুচাষীকে তিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি ছিলো। কিন্তু চুক্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে আরও ৩ মাস অতিক্রান্ত হলেও তিগ্রস্ত আলুচাষীদের তিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি মালিক- কর্তৃপ। ’

তারা বলেন, ‘তিপূরণ না দিলে অথবা তিপূরণ দিতে টালবাহানা করলে উত্তরা হিমাগারসহ রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে। ’
 
আলুচাষী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘চুক্তি করে আমাদের তিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী আমাদের তিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’
 
প্রসঙ্গত, দিনাজপুর সদর উপজেলার বড়ইলে গড়ে তোলা উত্তরা হিমাগারে আলু ধারণ মতা ৩৭ হাজার বস্তা (প্রতি বস্তা ৮৫ কেজি)। কিন্তু গত মৌসুমে কর্তৃপ অতিরিক্তি ২০ হাজার বস্তাসহ মোট ৫৭ হাজার বস্তা আলু সংরণ করে।

অপরদিকে হিমাগারের জেনারেটরটিও ৭/৮ বছর ধরে অচল।

তাই অতিরিক্ত মজুদের কারণে হিমাগারে বাড়তি গরম ও লোডশেডিংকালে হিম বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার বস্তা আলু পচে যায়।

এর প্রতিবাদে তিগ্রস্ত আলুচাষীরা আন্দোলন শুরু করলে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ উত্তরা হিমাগারের অন্যতম পরিচালক নওশাদ আফরোজ বাবু গত ২ মে তিগ্রস্ত আলুচাষীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। ওই চুক্তিতে তিনি পর্যায়ক্রমে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তিগ্রস্ত আলুচাষীদের তিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন।

কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও হিমাগার কর্তৃপ তিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ না নেওয়ায় গত ৪ আগস্ট আলুচাষীদের প থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এরপরও তিপূরণ দেওয়ার কোনো উদ্যোগ না থাকায় তিগ্রস্ত আলুচাষীরা আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।