ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন ঋণ নিয়ন্ত্রণে এসইসির কঠোরতায় বাজারে দরপতন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০
মার্জিন ঋণ নিয়ন্ত্রণে এসইসির কঠোরতায় বাজারে দরপতন

ঢাকাঃ মার্জিন ঋণ বিতরণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কঠোর অবস্থানের কারণে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের জন্য কোম্পানির সম্পদ মূল্যভিত্তিক (এনএভি) হিসাব নির্ধারণ করে দেওয়ায় বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ১২৮.৩৫ পয়েন্ট।

পাশাপাশি মঙ্গলবারের তুলনায় লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।

গত মঙ্গলবার এসইসি’র বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় মার্জিন ঋণ প্রদানে শেয়ারের সম্পদ মূল্যকে ভিত্তি ধরা হয়। একইসঙ্গে এই নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রতি এসইসি কড়া নির্দেশ দেয়।

এদিকে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি কার্যকর করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর অবস্থানের কারণে বুধবার শেয়ারবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো ‘ফোর্স সেল’ শুরু করবে-এই হিসাব-নিকাশ থেকেই বাজারে আতঙ্ক ছড়ায়।
 
বুধবার ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমাসহ মৌলভিত্তির প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে থাকায় দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ১২৮.৩৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৬৪৯.৬০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। পাশাপাশি সার্বিক সূচকও ১০২.১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৩৬৮.৯৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

এদিন লেনদেন হওয়া ২৫১ কোম্পানির মধ্যে ১৮৪টির শেয়ার দাম কমেছে বিপরীতে বেড়েছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

এদিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় আর্থিক লেনদেনও কমে।

বুধবার ডিএসই’তে মোট ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯৪ হাজার  ২৩৩ টাকা টাকার শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট ও কর্পোরেট বন্ড লেনদেন হয়- যা আগের দিনের লেনদেনের তুলনায় ২৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার কম।
এদিকে মার্জিন ঋণ নিয়ে এসইসি’র নানা কারণে ব্যাপক দরপতন সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

ডিএসই’র সাবেক নির্বাহী প্রধান অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, গত কয়েক মাসে পুঁজিবাজারে যে হারে শেয়ারের দর বেড়েছে তাতে এমন দরপতন অপ্রত্যাশিত ছিলো না।

বাজারে এ ধরনের সংশোধন বরং অধিকাংশ বিনিয়োগকারীকে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও মত দেন তিনি।  

স্থানীয় সময়: ১৯৩৫ ঘন্টা ২৫ আগস্ট ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।