শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল কটন সামিট-২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মুহিত বলেন, আমাদের দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত প্রায় বেশিরভাগ কাঁচামালই আমদানি নির্ভর।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে তুলা উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জমি নেই, সে জন্য দেশীয়ভাবে কটনের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। চিনি ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে এসব জমিতে তুলা চাষ করা উচিৎ। কেননা দেশীয়ভাবে চিনি উৎপাদন লাভজনক নয়, এছাড়া তামাকও কোনো ভালো ফসল নয়। তাই এসব চাষ বন্ধ করে তুলা চাষ করা উচিৎ। তাহলে কিছুটা হলেও কটনের চাহিদা মেটানো যাবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আমাদের দেশে বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠলেও এর কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। তবে বর্তমান সরকার এ বিষয়টি অনেক আগে থেকে চিন্তা করে আসছিলো। এরই ফলশ্রুতিতে মন্ত্রিপরিষদে বস্ত্র আইন নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, কটনের চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ আমরা দেশীয়ভাবে পূরণ করতে পারি। তাই সরকার ঘোড়াশালে পাট থেকে ভিসকস উৎপাদনের কারখানা করা হবে। এ থেকে আমরা প্রতিবছর ৩৫ হাজার টন ভিসকস উৎপাদন করতে পারবো। যা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অনেক বড় একটি সুবিধা হবে। এছাড়া আমাদের এ শিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতাও কিছুটা কমবে।
কটন সামিটে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা সালমান ইস্পাহানী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী আলী ও সামিট আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আইয়ুব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এমএসি/জেডএস