ঢাকা : কেরানীগঞ্জের মুড়ি তৈরির কারখানাগুলোতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যার্ন্ডাড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)। এসময় তিনটি মুড়ি কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের জরিমানা ও শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ভেজাল মুড়ি নষ্ট এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএসটিআই’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আল আমিন, কর্মকর্তা এসএম আবু সাইদ ও মো: হানিফের নেতৃত্বে একটি দল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এবং জিঞ্জিরা ফেরিঘাট এলাকার মুড়ি তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা প্রতি চল্লিশ কেজি মুড়িতে একশ’ গ্রাম রাসায়নিক মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করা দেখতে পান।
মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হাইড্রোজেন মিশিয়ে মুড়ি তৈরির জন্য এম হোসেন মুড়ি তৈরির কারখানার মালিক মো: হোসেনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই কারণে বিসমিল্লাহ মুড়ি মিলের টেকনিশিয়ান জিল্লুর রহমানকে ছয়মাসের এবং ম্যানেজার মো: রিপনকে দুইমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় মিল মালিক মো: ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হয়।
পরে হাজী মো: বাল্লু মিয়া নামের আরেকটি মুড়ি তৈরির কারখানাতেও অভিযান চালায় বিএনটিআই-এর দলটি। এসময় একই কারণে কারখানা মালিক মীর জাহানকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানের সময় এম হোসেন কারখানা হতে ১হাজার ১৫০ কেজি, বিসমিল্লাহ মুড়ি মিল হতে ১ হাজার কেজি এবং হাজী মো: বাল্লু মিয়া মুড়ি কারখানা হতে ১ হাজার ৫০০ কেজি সর্বমোট ৩হাজার ৮শত ৫০ কেজি ভেজাল মুড়ি জব্দ করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি এম হোসেন কারখানা হতে পাঁচ কেজি, বিসমিল্লাহ মুড়ি মিল হতে ৭৩ কেজি এবং হাজী মো: বাল্লু মিয়া মুড়ি কারখানা থেকে তিন কেজি বিষাক্ত রাসায়নিক জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০।