ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা ঢাকায় বসে প্রতিবেদন তৈরি করেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা ঢাকায় বসে প্রতিবেদন তৈরি করেন নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুস্তফা কামাল

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ১০ মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.৬৫ শতাংশ হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫২ ডলার। বিগত অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৭.২৮ এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ ডলার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। তবে বিবিএস-এর দেওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় আছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক বলছে বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫ অথবা ৬.৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের এমন প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার (০৯ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের তথ্য সঠিক নয়, আমাদের (বিবিএস) তথ্য সঠিক। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যে আমি হতভম্ব। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা ঢাকা অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করেন। তারা (বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা) ঢাকার বাইরে যান না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব। এটা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়। বিশ্বব্যাংকের ভারত অফিসের কর্মকর্তারা যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দিতেন তবে  এটা ৮ শতাংশ হতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক কেন আমাদের তথ্য নিয়ে মাতামাতি করে। বিশ্বব্যাংক বিবিএস-এ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তারাই  আবার বিবিএস নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের গ্রহণ করে না, কেন করে না আমরা জানি না।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তথ্য দেয়। বিশ্বব্যাংক ফরমাল ইকোনোমি নিয়ে কাজ করে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য দিয়ে কিছু আসে যায় না। বিশ্বব্যাংকের কোনো সার্ভে নাই, তারা ঢাকা অফিসে বসে প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সংশয় বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।