বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে রোববার (১৫ এপ্রিল) দিনব্যাপী হালখাতায় এ টাকা রাজস্ব আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা ছিলো গত বছরের বকেয়া কর আয়।
সকাল ১০টা থেকে উৎসব মুখ পরিবেশে ‘রাজস্ব হালখাতা’ শুরু হয়। যা বিকেল ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। ঢাকা কর অঞ্চল-৪, ৮ এবং কর অঞ্চল-১৪ সহ বেশ কিছু কর অঞ্চলে করদাতাদের মিষ্টি মুখ করানো হয়। একই সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় একটি উত্তরীয় এবং বই।
সারাদেশে সকাল ১০টায় হালখাতা শুরু হলেও ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের কর অঞ্চল-৮ ও কর অঞ্চল-১৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আনুষ্ঠানিকভাবে হালখাতার উদ্বোধন করেন।
কর অঞ্চল-৮ এর প্রধান সেলিম আফজালের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন কর কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জিয়া উদ্দিন মাহমুদ ও মাহবুর রহমানসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।
কর অঞ্চল-১৪ তে সকালে এসে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হায়দার হোসেন ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আয় কর জমা দেন। এ সময় স্বেচ্ছায় আয়কর জমা দেওয়ার জন্য এনবিআর চেয়ারম্যান ওই ব্যবসায়ীকে সম্মাননাসহ পুরস্কার দেন। এরপর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্সের পক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকাসহ মোট ১৪ জন ব্যবসায়ী কর অঞ্চল-১৪ তে আয়কর জমা দিয়েছেন।
এরপর একইস্থানে এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিসহ ১৪ ব্যবসায়ী কর অঞ্চল-৮ এ তাদের আয়কর দাখিল করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান সব করদাতা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা হিসেবে একটি উত্তরীয় এবং বই পুরস্কার দেন।
দুপুর ১২টার দিকে কর অঞ্চল-৪ এর হালখাতা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
পর্যায়ক্রমে সবক’টি কর অঞ্চল পরিদর্শন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। করের আওতায় বাড়াতে ও আয়কর সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে দ্বিতীয় বছরের মতো এ হালখাতার আয়োজন করেছে এনবিআর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এমএফআই/আরবি/