তবে কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কেনার পরই খুচরা বাজারে সবজির দাম বেড়ে হয় দ্বিগুণ বা তারও চেয়ে বেশি। কেন এত দাম প্রশ্ন করলেই নানা অজুহাত আর যুক্তি দেখান ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১১ মে) রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারে সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বাজারের অধিকাংশ পণ্যই আসে কারওয়ান বাজার থেকে। কিন্তু কারওয়ানবাজার আর শান্তিনগর বাজারে সবজির দামের পার্থক্য অবাক করার মতো। কারওয়ান বাজার থেকে আসা সবজি শান্তিনগরে দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়।
সুজন নামে এক ক্রেতার অভিযোগ, আশপাশের বাজার থেকে শান্তিনগর বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হয়। কিন্তু বাজারটি বাসার কাছে তাই এখানেই আসা। এ বাজারে দাম-দরের সুযোগ নেই। সব বিক্রেতারাই এক দাম হাঁকেন।
তিনি বলেন, আমি দাম-দর করে এক বিক্রেতার কাছ থেকে অন্য বিক্রেতার কাছে গেলে সেও একই দাম চান। তাদের সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি। প্রশাসনের উচিত বাজার তদারকি করা।
তবে সুজনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বললেন এ বাজারের বিক্রেতারা। তাদের দাবি এখানে একজন ক্রেতা বাজার যাচাই করে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন।
শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আহাম্মেদ আলী জানান, আমাদের এখানে কোনো পণ্যে বাড়তি দামে বিক্রি করা হয় না। তার দাবি সীমিত লাভেই তারা সব সবজি বিক্রি করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) পটল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ২৪ টাকা। কিন্তু শান্তিনগর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। এক পাল্লা আলুর দাম ৮০ টাকা, কেজি প্রতি ১৬ টাকা কেজি। এ বাজারে বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি দরে। এক পাল্লা টমেটোর দাম ১৩০ টাকা, প্রতি কেজি ২৬ টাকা। শান্তিনগরে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢেরস ১২০ টাকা পাল্লা অর্থাৎ ২৪ টাকা কেজি। এখানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি।
বেগুন ২০০ টাকা পাল্লা, ৪০ টাকা কেজি। শান্তিনগরে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। ফুলকপি ও বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৭ টাকা করে তবে শান্তিনগরে প্রতি পিস বাধাকপি ও ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে তিন গুণ বেশি দামে।
সবজি বিক্রেতা আহাম্মেদ আলীকে কারওয়ান বাজারের সঙ্গে দামের ব্যবধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, পাইকারি বাজার থেকে আমাদের আনতে অনেক খরচ হয়। গাড়িভাড়া, কুলি খরচ এখন অনেক বেশি। তাই কিছুটা দাম বেশি নেওয়া হয়।
কিন্তু কিছুটার কথা বলে এত বেশি দাম কেনো নেন এমন প্রশ্নের জবাবে অপর বিক্রেতা হাসান বলেন, ভাই এখানে দোকান নিতে অনেক খরচা লাগে। ভাড়া বেশি, আবার পরিবার আছে। খামু কী?
চাল-ডালে স্বস্তি, সবজিতে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
এমজেএফ/এমজেএফ