বাজারে লিচু উঠতে শুরু করলেও তা পরিপক্ব নয় এখনও। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিপক্ব লিচু আসতে শুরু করবে বাজারে।
দেশজুড়ে রসালো মধু ফল হিসেবে পরিচিত লিচু এখন দিনাজপুরের প্রতিটি গাছের শাখায় ঝুলছে। সবুজ পাতার মাঝে ঝুলন্ত লিচু দেখে চাষিদের মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। এবার লিচুর আবাদ গত বছরের তুলনায় কম হওয়ায় দামও বেশি পাওয়ার আশা করছেন তারা।
দিনাজপুরের লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এ জেলার লিচু বিদেশেও রফতানি করা হয়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লিচু কিনতে ব্যবসায়ীরা দিনাজপুরে অবস্থান করছে। দিনাজপুরের লিচু টসটসে রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় এর সুনাম ছড়িয়ে আছে দেশ-বিদেশে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি প্রজাতির লিচু অন্যতম।
দিনাজপুর বিরল উপজলার মাধব মাটি এলাকার লিচু চাষী মো. শাহরিয়ার আহমেদ শাওন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে গাছের লিচু দেখতে চমৎকার। এই লিচু আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত গাছে ধরে রাখতে প্রায়োজনীয় সকল প্রকার পরিচর্যা করা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রসালো এই লিচুতে পোকার আক্রমণের সম্ভবনা থাকে। তাই সার্বক্ষণিক সচেতন থাকতে হয়। লিচু এখনও খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠেনি। বাজারে বর্তমানে যেসব লিচু পাওয়া যাচ্ছে তা পরিপক্ব নয় তাই স্বাদ কম। আরও কয়েকদিন গাছে রাখলে পরিপক্ব হতো। এবার লিচুর ফলন কম হওয়ায় বাজারে আমদানি কম হবে। তাই চাহিদার তুলনায় সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ কারণে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে আগত মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মুকুল আসার আগেই বাগান কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। এবার ফলন কম। তাই আগেভাগেই অন্যের বাগানের লিচু কিনতে দিনাজপুরে এসেছি। বর্তমানে লিচু পরিপক্ব না হয়ে ওঠায় কিনছি না। আগামী সপ্তাহ থেকে লিচু কিনব।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে গাছের প্রতিটি ডালের শাখায় থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। গাছে মুকুল আসার আগ থেকে লিচু ওঠা পর্যন্ত চাষিদের সার্বক্ষণিক সঠিক পরামর্শসহ সকল সহযোগিতা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এমজেএফ