‘দৌড়ের উপর’ থাকলেও ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট ব্যবসা তাদের। শনিবার (০২ জুন) দুপুরে সরেজিমনে ঘুরে ও হকারদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর নিউ মার্কেট, চাঁদনি চক ও গাউসিয়ার সামনে ক্রেতাদেরও ব্যাপক আনাগোনা। সাধ্যের মধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ঈদের কাপড় মেলে হকারদের কাছে। শিশুদের বিভিন্ন ধরনের শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট। রয়েছে মেয়েদের ফতুয়া, জিন্স, টি-শার্টসহ নানা ধরনের পোশাক।
থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট, ট্রাউজার, ছেলেদের প্যান্ট-শার্ট ইত্যাদিও মিলছে তাদের কাছে। ‘ফুটপাতে এসব পোশাক একদিকে যেমন খুব সস্তায় পাওয়া যায়, তেমনি মানও তেমন খারাপ না,’ এমনই মন্তব্য ছিল মোহাম্মদপুরের আদাবর থেকে আসা সলিমুল হকের।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কিছুই করার নেই, মার্কেটের ভেতর থেকে কিনতে প্রতি জামায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা লাগবে। আর ফুটপাতে তা কিনতে লাগছে মাত্র আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা। তবে দেখে শুনে কিনতে হয়।
গাউসিয়া মার্কেটের সামনের রাস্তায় বড় বস্তায় করে শার্ট ফেরি করে বিক্রি করছিলেন এক হকার। তিনি বলেন, সব সময় বস্তায় মালামাল রাখি। কখন পুলিশ এসে হানা দেয়, সেটা বলা যায়? দৌড়ের উপর ব্যবসা করতেছি। তবে বিক্রি কম না। একটু দাঁড়াতে পারলে ব্যবসা খারাপ হয় না। কারণ ক্রেতা বেশি।
এদিকে নিউমাকের্টের দোকানগুলো লাগোয়া হকার্সে মার্কেটেও ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ভেতরেও। দোকান কিংবা শোরুম গুলোর কর্মীদের যেনো দম ফেলার ফুরসত নেই।
মিরপুর থেকে শপিং করতে এসেছেন সাফায়েত সায়মা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সময় এই মার্কেটে বাবার সঙ্গে আসতাম। এখন নিজের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করছি। সব ধরনের পোশাকাদি সাধ্যের মধ্যে কেনা যাচ্ছে। দামাদামি করে কেনা ছাড়াও প্রাইড, বি প্লাসের মতো দোকানগুলো থেকে কোয়ালিটি জামা-কাপড় এক দামেও কেনা যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদে কাপড়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রি পিসের দোকানগুলোতে। এবার নিত্য নতুন ডিজাইন আর ভালো কাপড়ের আধুনিক থ্রি পিস এসেছে বাজারে।
কাঠালবাগান থেকে ছোট বোনের জন্য থ্রি পিস কিনতে এসেছেন ফয়সাল হোসেন। বললেন, পছন্দমেতা থ্রি পিস পাওয়া যাচ্ছে। কাপড়ের মানও খুবভালো। তবে দাম খানিকটা বেশি মনে হচ্ছে।
ফয়সালের ভাষায়, থ্রি পিস ৬০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যার কাছ থেকে যেমন সুযোগ তেমন দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে দেখে শুনে দামাদামি করে নিলে ঠকার উপায় নেই।
থ্রি পিসের পেয়ে অপেক্ষাকৃত শাড়ি দোকানে মানুষের ভিড় কম। টিস্যু কাতান, বেনারসি কাতান, মিরপুরি কাতান, জুট কাতান, কোটা কাতান, সিল্ক কাতানসহ হাফসিল্ক সুতি, জামদানি, সিল্ক জামদানির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। তবে তারা আশা করছেন, ২/১ দিনের মধ্যে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
ইএস/এমএ