এ কারণে এই শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় করছেন বিড়ি শ্রমিক ও মালিকরা। তাই এই প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির নেতারা।
সোমবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংগঠনটির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিড়ির ওপর কর বসাতে চাননি। একটি বিদেশি কোম্পানি (বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যোজসাজস করে ফিল্টার বিড়ির ওপর ২৫ শতাংশ কর বসিয়েছে। এবারের বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে এই কর প্রত্যাহার করতে হবে। গত অর্থবছরে বিড়ি শিল্পের ওপর শতভাগ কর বাড়ানো হয়েছিলো। তখন প্রতি হাজারে রাজস্ব ৩৩৬ টাকা থেকে ৪২০ টাকায় পরিণত হয়েছে। এই ঘানি টানতে না টানতেই এই বাজেটে বিড়ির মূল্য ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকায় উন্নিত করেছে। অথচ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন।
সিগারেটের মূল্যের ওপর কর বাড়ানো হয়নি উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, কম দামি সিগারেটের মূল্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিন টাকা কমানো হয়েছে। আর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক। বেশি দামি সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক মোটেও বাড়ানো হয়নি। অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তই বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করবে। এছাড়া বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির সিগারেটের দাম কমানো হয়েছে। এ রকম বৈষম্যমূলক আচরণ সূক্ষ্ম চক্রান্তের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দেবের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নাদের হোসেন, আকিজ বিড়ির মহা ব্যবস্থাপক কাজী আনোয়ারুল ইসলাম, সংগঠনটির সমন্বয়কারী আলী সাদাত খান মজলিস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সামসুল হক, আতাউর রহমানসহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা চার দফার দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো- বাজেটে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহার, বহুজাতিক কোম্পানির জন্য আলাদা একটি বিশেষ ক্লাব অব্যাহত রাখতে হবে। বিড়ি শিল্পকেও সিগারেটের মতো ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিতে হবে। ভারতের মতো করারোপ এবং কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
এমএএম/এএটি