মঙ্গলবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনার অভিজাত শপিং কমপ্লেক্সের দোতলায় এমন দৃশ্যের দেখা যায়।
মার্কেটজুড়ে বিত্তবানদের ধুম পড়েছে কেনাকাটায়।
হাসান বলে, কত স্যারের কাছেই একটা লাল জামা চাইছি। কিন্তু কেউ দেয় নাই। ৫-১০ টাহা দিছে। তাতে কি আর জামা কিনা যায়।
হাসানের মা সাকিনার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ার রুদাঘরায়। স্বামী শহিদুল অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারে না। গ্রামে একটু মাথা গুজার ঠাঁই কুঁড়ে ঘরের জায়গা ছাড়া সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই।
তিনি আরও জানান, পেটের দায় ঘোচাতে ও ঈদ উপলক্ষে কিছু সহযোগিতার আশায় গ্রাম থেকে খুলনায় এসেছেন। পাখি ডাকা ভোরে আসেন আর সন্ধ্যায় গ্রামে ফিরে যান। যা হয় তা দিয়ে তিন ছেলে-মেয়ের নিয়ে কোনো মতো চলে যায়। কিন্তু সামনে ঈদ আর স্বামীর চিকিৎসার জন্য কিছু বাড়তি পাওয়ার আশায় শহরের মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করতে আসা লোকেদের কাছে হাত পাতছেন। বড় দুই ছেলে-মেয়েকে বাসায় রেখে আসলেও ছোট ছেলে হাসানকে সঙ্গে নিয়ে আসেছেন।
সাকিনা জানান, হাসানের এবার ঈদে একটি লাল জামার আবদার। প্রতিদিনই মার্কেটে এসে শুধু জামার দিতে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু কেউই সে আবদার পূরণ করে না। আবদার পূরণ না করে প্রতিদিনই শুধু ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা করে গ্রামে ফিরে যান তারা।
না পাওয়ার এ বেদনা থেকে হাসানের মতো দরিদ্র অসহায়দের ঈদ আনন্দটা স্বপ্নের মতো মনে হয়। ঈদ কেন যেনো তাদের আপন হতে চায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/