তার আগে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে এই ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমাদের ধরে রাখতে হবে কমপক্ষে তিন বছর।
মঙ্গলবার(১৯ জুন) বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিছক একটি চুক্তি নয়, এটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতাও নয়, এটি হচ্ছে’ নিজের বিবেকের কাছে নিজের পরীক্ষা। তবে এ কথা সত্য যে কাজ করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয় না। আকাশে লাখ লাখ তারা রয়েছে কিন্তু একটি চাঁদের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়। আপনারা একেকজন একেকটি চাঁদ। আপনাদের কাজ ও আলোয় আলোকিত হবে চারদিক।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে শিক্ষা ও রাজস্ব খাতের ব্যাপক সংস্কার করা হবে। শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হবে। আর রাজস্ব আদায় এমন হতে হবে যাতে বেশি লোক করের আওতায় আসবে এবং করের হার কম হবে। তাহলে একদিকে যারা কর দেন তাদের উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। করের হার কমিয়েও কর রাজস্ব আদায় ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয় সম্ভব।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন গতি বাড়াতে লাইন মিনিস্ট্রিগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তা না হলে চেষ্টা করার পরও যদিও তারা ফেল করে সেই দায়িত্ব দিন শেষে আমাদের কাঁধে এসে পড়ে।
পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, শামীমা নার্গিস, জুয়েনা আজিজ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেদ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এমআইএস/এএটি