সোমবার (২৫ জুন) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্টের চতুর্থ পর্যালোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। সরকার বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন করেছে। শ্রমিকরা এখন যে কোনো সময়ের তুলনার অধিক শ্রম অধিকার ভোগ করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘এভরিথিংস বাট আর্মসের (ইবিএ)’ আওতায় বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। এতে আমরা অর্থনৈতিকভাবে বেশ উপকৃত হচ্ছি। এজন্য বাংলাদেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। প্রায় ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত, আইএলও প্রতিনিধি বক্তব্য রখেন।
এছাড়া বাংলাদেশে প্রতিনিধিদলের সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল হাবিবুর রহমান খান, বিকেএমইএ-এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
আরএম/এনটি