ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন পুরোপুরি পরিশুদ্ধ সাংবাদিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৮
মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন পুরোপুরি পরিশুদ্ধ সাংবাদিক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে সভা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি পেশাদার ও পরিশুদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন। সততা, নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি পক্ষপাতহীনভাবে সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। আর অর্থনীতির সাংবাদিকতায় তিনি শুধু পুরোধা ছিলেন না, ছিলেন পথিকৃতও।

শনিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে তারই প্রতিষ্ঠিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) উদ্যোগে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। ইআরএফ দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন।

দুই যুগ আগে কয়েকজনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠার সময় এর সভাপতি ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন।  

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে মোয়াজ্জেম হোসেনের সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করেন। শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।  

শুরুতে ইআরএফ ও অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাবনার ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া কাজল।  

আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৫ বছর আগে অনেকটা জোর করে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। মাত্র ৫০ লাখ টাকা তাকে দেওয়া হয়েছিল, তাও দুই দফায়। শুরুতে আমাদের আগ্রহ ছিল না, কিন্তু তার পীড়াপীড়িতে আমরা রাজি হয়েছিলাম। বেহরুজ ইস্পাহানি, মঞ্জুর এলাহীসহ আরও কয়েকজনের থেকে টাকা নিয়ে শুরু করা হয়। এখন প্রায় ৪০ জন শেয়ারহোল্ডার। বাংলাদেশে একটি পত্রিকা নিজেরা চলে, আবার শেয়ারহোল্ডারদের লাভ দিচ্ছে। এর দাবিদার মোয়াজ্জেম। এটা সম্ভব হয়েছে তার দায়িত্ববোধ, পেশাদারিত্ব, সততার কারণে। মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন সব ভালো গুণের অধিকারী।  

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই যুগে সৎ থাকা সত্যিই কঠিন কাজ। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন সততার সঙ্গে জীবন পার করে গেছেন।

বক্তারা বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন সব অবস্থায় নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর কাজ করেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষদের কিভাবে দারিদ্র্যমুক্ত করা যায় তা লেখনীর মাধ্যমে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থ, কৃতি, স্বচ্ছলতা তাকে তাড়িত করেনি। তার ভেতরে মানুষের কল্যাণের অন্যরকম তাড়না ছিল।  

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ইআরএফের সদস্য এরশাদ মজুমদার, বদিউল আলম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কাশেম হুমায়ুন, সাজ্জাদুর রহমান, সাজ্জাদ আলম খান তপু, আশিকুন নবী চৌধুরী ও ফারুক আহমেদ। এছাড়া ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্টার মোফাজ্জল হোসেন ও আরাফাত আরা তার স্মৃতিচারণ করেন।  

সভায় কয়েকজন মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড বা ফেলোশিপ চালু করার প্রস্তাব করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম।  

গত ১ আগস্ট প্রয়াত হন মোয়াজ্জেম হোসেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।