ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরার কামারেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ব্যস্ত সময় পার করছেন মাগুরার কামারেরা মাগুরার কামারেরা

মাগুরা: লোহা ও হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাগুরার কামারশালাগুলো। কোরবানির ঈদে সামনে রেখে পশু কোরবানির জন্য চাপাতি, দা, ছুরি, বটি তৈরি ও মেরামতে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। প্রতি বছর এ সময়টায় যেনো কামারেরা নিশ্বাস নেওয়ার সময়ই পান না।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) মাগুরা নতুন বাজারে ঢুকতেই চোখে পড়ে একটি কামারশালা। হাপর দিয়ে কয়লা আগুনে বাতাস দিয়ে দা, বটি বানানোর কাজ করছিলেন ৫০ বছর বয়সী গোবিন্দ বিশ্বাস।

কাজ করতে করতে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আকার ও আকৃতি ভেদে একটা চাপাতি তৈরি করতে দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকি। দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির দাম সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের হয়।

গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, কয়লা না থাকার কারণে বেশি অর্ডার নিতে পারছি না। যে দোকানে গ্যাসের চুলা আছে তাদের অর্ডার একটু বেশি। আমার দোকানে গ্যাসের চুলা নেই। তবু্ও এ বছর কাজের চাপ ও অর্ডার বেশি থাকায় গত বছরে চেয়ে একটু বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। এসময় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করছি। এতে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখে-শান্তিতে আছি।

লেখাপড়া করতে না পারায় দুঃখ থাকলেও এই কাজ করে আনন্দ পাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেখাপড়া করতে পারি নাই। নিজের তেমন কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। তাই এই কামারের কাজ করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারছি। তাদের কামারের কাজ শেখাইনি।

‘গোবিন্দ বিশ্বাস ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কামারের কাজ করছেন। এখন এই কাজ করে তিনি সংসার চালাছেন। ’

বিসিকের মাগুরার পরিচালক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরজমিনে গিয়ে দেখেছি মাগুরা প্রায় ৩০০ বেশি পরিবার কামার পেশার সঙ্গে জড়িত। তারা দৈনিন্দন কাজের দা, ছুরি, বটি, চাপাতি পশু জবাইয়ের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি করছে ও মেরামত করছে। বিসিকের পক্ষ থেকে তারা যদি আমাদের কাছে আসে তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে। যাতে এ শিল্পটা বিলীন না হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।