শুক্রবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল অডিটোরিয়ামে ‘স্থলবন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় গতিশীলতা আনয়নের নিমিত্তে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভায় নৌমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বেনাপোল স্থলবন্দরে মাত্র ২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল বন্দর স্থলপথে আমদানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি রাজস্বদাতা হলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে আজও পিছিয়ে। বন্দরের ধারণক্ষতা ৩০ হাজার মেট্টিক টন। কিন্তু এখানে সার্বক্ষণিক আমদানি পণ্য থাকে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মেট্টিক টন। স্থান সংকটে পণ্য খালাস করতে না পারায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি ও সাবেক চেম্বার কর্মাসের নেতা জাহিদ হাসান টোকন বলেন, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। অথচ বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানিতে সে প্রভাব পড়েনি।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে যানজটে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিজিবির টুআইসি মেজর নজরুল ইসলাম বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমসকে সহযোগিতার জন্য বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে। যদি কাস্টমস এটাকে প্রয়োজন মনে না করে সেক্ষেত্রে বিজিবি বিষয়টি ভেবে দেখবে।
ভারত বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করছে। কিন্তু এ বন্দরে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ না করে যে বন্দরে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ নেই, সেসব বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বন্দরের উন্নয়ন কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাশেষে মন্ত্রী বেনাপোল বন্দরে অধিগ্রহণকৃত ১৭৫ একর জমির মধ্যে ২৬ একর জমির মূল্য বাবদ জেলা প্রশাসকের কাছে চেক দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন সচিব (ব্যাবস্থাবক) আব্দুস সামাদ, যুগ্ম-সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর মো. নাহিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, স্থল বন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম, যশোর পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এজেডএইচ/জেডএস