ক্রেতা সাধারণ দর্শনধারী ষাঁড় দু’টি দেখতে মাঝে মধ্যেই ভিড় করেন। তিনিও সাধ্যমতো সামাল দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে দেখতে সহযোগিতা করেন।
কারণ ক্রেতা-বিক্রেতা কারো হাতেই যেনো সময় নেই। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রেতাকে পশু কিনতে হবে। আবার বিক্রেতারও পশু বিক্রি করা প্রয়োজন। তবে দামদরে ছাড় দিতে নারাজ দু’পক্ষই।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় অবস্থিত সুলতানগঞ্জ পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেলো এমন দৃশ্য।
এ হাটে দুপুর ১২টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু আসতে থাকে। দুপুর ৩টার মধ্যে হাটের সিংহভাগ স্থান গরুতে ভরে যায়। জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করেন। ঘণ্টাখানের মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদভারে হাট এলাকা দমদম করতে থাকে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা জালাল। এই হাটে বিক্রি করার জন্য চারটি ষাঁড় গরু নিয়ে এসেছেন। রকমভেদে একেকটি গরুর দাম হাঁকান দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে।
সোনাতলা এলাকা থেকে আলমগীর নামে একজন খামারি একটি ষাঁড় বিক্রি করতে এ হাটে এসেছেন। গরুটির দাম তিন লাখ টাকা হাঁকছেন। সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন একজন ক্রেতা।
তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুস সাত্তারসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। হাটে আসা বেশির ভাগ ক্রেতার টার্গেট ৪০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে পছন্দের গরু কেনা। তবে অনেক ক্রেতাই ৮০হাজার থেকে এক লাখ টাকার কিছু ওপরে গেলেও পছন্দের গরু কেনার ব্যাপারে আগ্রহী।
ক্রেতারা আরও জানান, মাঝারি আকারের গরুর বেশি চাহিদা এ হাটে। এ সুযোগে বিক্রেতারাও ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাছেন। এতে গরু কিনতে ব্যাপক দামদর করতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কিনতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
হাট ইজারাদারের পক্ষে নিয়োজিত আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, দুপুর থেকে এ পশুর হাট লাগে। সন্ধ্যার পরও এ হাটে পশু কেনাবেচা চলে।
পাশাপাশি হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআইএস/