ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতাদের ঝোঁক মসলার দোকানে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
ক্রেতাদের ঝোঁক মসলার দোকানে মসলার দোকান। ছবি: আবু বকর

সিলেট: দাম বেশি, এ আর নতুন কি? ঈদ এলেই তো সব কিছুরই দাম বাড়ে। মসলার দামও বেশি। তারপরও আগেভাগেই মসলা কিনতে দোকানে হাজির নগরের  সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী নার্গিস আক্তার। 

ঈদে তৈরি খাবারকে রুচিসম্পন্ন করতে বাজারে আসা এই গৃহিনীর। তার মতো অগণিত ক্রেতাদের ঝোঁক এখন মসলার দোকানে।

মসলা ছাড়া অচল মাংসভুনা। অচল তরিতরকারি। তাই সময় এখন দারুচিনি-এলাচিসহ মসলাপাতির। খুঁটিনাটি হলেও মসলা প্রয়োজনীয়। শেষদিকে এই অত্যাবশ্যকীয় মসলার জন্য ঘরণীর কাছে জবাবদিহিতায় পড়েন গৃহকর্তারা। তাই কোরবানির পশু কেনার আগেভাগেই অনেকে সারছেন মসলার বাজার।

নগরের হাওয়া মিরের ময়দানের বাসিন্দা মাছুম আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ব্যস্ততায় শেষ সময়ে মসলার বাজার করতে গিয়ে অনেক কিছু অসম্পন্ন রয়ে যায়। যে কারণে আগেই মসলার বাজার করচ্ছি। আর ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে কেনাবেচা এখন তুঙ্গে। তবে এবার মসলার দাম খুব একটা দাম বাড়েনি বলেও মন্তব্য করেছেন বিক্রেতারা।

মসলার বস্তা ঠিক করছেন এক বিক্রেতা।  ছবি: আবু বকরনগরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, জিরা, এলাচি ও দারুচিনির দাম খানিকটা বাড়তি। পাইকারি বাজারে দম কিছুটা সহনীয় হলেও খুচরা বাজারে একটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মসলা।
 
খুচরা বাজারে জিরার কেজি ৪৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, এলাচি ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি।  বাজারে ১০০ গ্রাম ভাল জিরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা,এলাচি ১৭০ থেকে ২০০টাকা এবং ১০০ গ্রাম দারুচিনির ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে। এছাড়া আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাল, চিনি, লবণ, রসুন, মাছ ও মাংসের চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম আগে ২০ টাকা ছিল, কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা।
 
বাজারে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে হলুদ ও ধনিয়ার দাম। গুড়া হলুদ ২৪০ টাকা কেজি আর ধনিয়া ৩০০ টাকা। আর প্রতি ১০০ গ্রাম পাঁচফোড়নের জন্য বাজারভেদে গুনতে হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কালিজিরা ২৫ টাকা।  গোল মরিচ প্রকারভেদে প্রতি ১০০ গ্রাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং জায়ফল রাখা হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা পিস।

মসলা কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: আবু বকরকালিঘাটের বিক্রেতা রহমত আলী বাংলানিউজকে বলেন, জিরার দাম আগে ৩৩০ টাকা কেজি ছিল। কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। ফলে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এলাচির দামও কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া কিশমিশের দাম কেজিতে ২০ টাকা, দারুচিনি কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে। অবশ্য গোলমরিচ, লবঙ্গসহ অন্যান্য মসলার দাম প্রায় সমান রয়েছে।
 
নগরের মিরাবাজার মা স্টোরের স্বত্বাধিকারী ইলু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দারুচিনি এলাচি, জিরা অন্যান্য সময় সামান্যতম বিক্রি হয়। ব্যবসার খাতিরে পুঁজি খাটিয়ে এগুলো রাখা হয় দোকানে। ঈদে দু’চার টাকা বেশি বিক্রি করলেও ক্রেতাদের তেমন লস হবে না। বরং দীর্ঘদিন পূঁজি খাটানোর ফলে আমরা খুচরা বিক্রেতারাই লসে থাকি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।