সোমবার (২০ আগস্ট) গাবতলী পশুরহাটে দুপুরের পর থেকে ক্রেতার ঢল নামে, গরুও রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে ক্রেতা-ব্যাপারিরা একে-অপরকে শেষ মুহূর্তে অভিযোগ করতে থাকেন।
ক্রেতারা সাধ্যমতো পছন্দের গরু কিনতে গাবতলী হাট চষে বেড়াচ্ছেন। তবে গরু ছাড়ছেন না ব্যাপারি।
ব্যাপারিরা আশায় আছেন, গত কোরবানির ঈদের চাঁদ রাতে ক্রেতা গরু পায়নি। শেষ মুহূর্তে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে গরু। এবার ভারতীয় গরু হাটে নেই, ফলে একই দাম এবারও পাওয়া যাবে শেষ মুহূর্তে।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের কাশেদ আলী ব্যাপারি হাটে ৪৬টি গরু তুলেছেন। এরমধ্যে মাত্র আটটি গরু বিক্রি করেছেন, বাকি গরু রেখে দিয়েছেন। কাশেদের দাবি, ন্যায্য দাম বলছে না ক্রেতা।
কাশেদ বলেন, ‘ক্রেতা দামান বাজার দাপা বেড়াচ্ছে, তবু গরু কেনছে নানে। হাঁটতি হাঁটতি যখন পা ব্যথা হবিনে তকন ঠিকই গরু কিনে বাড়ি ফিরবে। গরুর খাবারের দাম মানুষের খাবারের থি ম্যালা দাম। এতো ট্যাকা খরচা করে লসে করু ব্যাবার মইদেনি ভাই। দরকারে গরু ব্যাচপো নানে। ’
একইভাবে ঝিনাইদহের শরিফ ব্যাপারি ২২টি গরু হাঁটে তুলেছেন। কিন্তু এরমধ্যে মাত্র নয়টি বিক্রি করেছেন। শেষ মুহূর্তে বেশি দামের আশায় গরু রেখে দিয়েছেন।
শরিফ বলেন, ‘গরুর দামে পড়তা হচ্ছে না। নয়ডি বিক্রি করেছি কোনো রকম ডাল-ভাতের দাম হইচে। ’
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের মতো ক্রেতা আসতে থাকে গাবতলী পশুরহাটে। তবে সেই হারে গরু বেচাকেনা কম।
মিরপুরের পল্লবি থেকে গরু কিনতে এসেছেন হাজী জসিম উদ্দিন। তিনদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন হাট ঘুরছেন। কিন্তু সাধ্যমতো গরু পাচ্ছেন না তিনি।
জসিম উদ্দিন বলেন, গরুর দাম খুবই চড়া। আসলে ব্যাপারিরা গরু ছাড়ছে না। বুঝতে পারছি না সামনে কি হয়। ছোট গরুর দাম শুনলে মাথা ঘুরছে।
তবে গাবতলীর ইজারাদাররা জানান, ২১ তারিখে সব থেকে বেশি গরু বেচাকেনা হবে। নগরীতে গরু রাখার জায়গার সংকট।
গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন যাদের গরু রাখার জায়গা আছে তারাই গরু কিনছেন। গরু বেচাকেনা এখনও সেভাবে জমেনি। এখন চলছে দর কষাকষি। মূল বেচাকেনা ২১ তারিখ থেকে কোরবানির দিন পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এমআইএস/আরআর