বরিশালের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম পদ্মাবতী। এই মোকামের আড়তদাররা চামড়া কিনে নিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে থাকেন।
মোকাম সূত্রে জানা গেছে, মোকামগুলোতে গরুর চামড়ার দাম সর্বোচ্চ ৭শ’ টাকা, খাসির চামড়া ১০ থেকে বিশ টাকায়, কেউবা দাম না পেয়ে গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ফ্রি দিচ্ছেন। পাশাপাশি চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র আরও জানা যায়, বরিশাল নগরে আগে ২০জন চামড়া ব্যবসায়ী ছিলো। বর্তমানে সেখানে পাঁচজন এ ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িত। এই পাঁচজন নিজের পুঁজি খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের হিসাবে কোরবানি ছাড়া অন্যান্য সময় বরিশাল মোকাম থেকে বছরে ৩৬ হাজার চামড়া ঢাকার ট্যানারিগুলোতে যায়।
বরিশাল কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিদুর রহমান শাহিন বলেন, এবারের কোরবানিতে ৫০ হাজার চামড়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অর্ধেক এসেছে। বাকিটা বাড়তি দামের আশায় মজুদ করে রেখেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
নগরের পদ্মাবতী এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. নাছির বলেন, এবারের কোরবানি নিয়ে চার বছর ধরে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা চামড়া নিয়েও নানা অযুহাতে আমাদের মূল্য পরিশোধ করছে না। লাখ লাখ টাকা বকেয়া পরে আছে।
অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে এখন লবণ ও শ্রমিক দিয়ে চামড়া প্রসেস করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। চামড়া বিক্রি করে সে টাকা আসবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তাই চামড়া নিয়ে বিপাকে রয়েছি। বাড়তি দাম দেওয়ার কোনো সুযোগ পাচ্ছি না।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রামাঞ্চল থেকে কম মূল্যে চামড়া কেনাটা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দামে চামড়া কেনা হলেও মোকামে মূল্যে পাচ্ছি না। তাই চামড়ায় এবারে লাভের কোনো আশা নেই।
মৌসুমি ব্যবসায়ী ইউসুফ বলেন, এবারে লাভের চেয়ে লোকসানের সম্ভাবনা বেশি। ছাগলের চামড়ার দাম নেই। আর গরুতে চামড়াপ্রতি ১০ টাকা লাভ হলে ১শ’ চামড়ার যে লাভ হবে তার চেয়ে মোকামে আনতে গাড়ি ভাড়া বেশি লাগে। তাই লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।
বাংলাদেশ সময় : ১০৫৫ ঘন্টা, আগস্ট, ২৩, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/