সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালে রফতানি ও বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৩৬ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি জাতীয় সংসদে বলেছি- এবার ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটা আমরা করিনি, করেছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আজ চামড়া ছাড়া সব পণ্য রফতানি বেড়েছে। সাভারের নতুন চামড়া শিল্প পার্কে এখনো আমরা সব ব্যবসায়ীর পক্ষে অবস্থান নিতে পারিনি। এখনো আমরা সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার) প্রস্তুত করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের নগদ সহায়তা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাদের যদি আমরা এক টাকা নগদ সহায়তা দেই তারা আমাদের অনেক বেশি ফেরত দেবেন।
নগদ সহায়তা প্রাপ্ত পণ্যের তালিকায় আরো নতুন ৯ টি পণ্য সংযোজন করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, কিছু কিছু আমলা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেন। তারা মনে করেন টাকা মন্ত্রণালয়ের। এই টাকা তারা খরচ করতে চান না। কিন্তু এই টাকা আমাদের। ব্যবসা-বাণিজ্য তথা দেশের উন্নয়নের জন্য এই টাকা খরচ করতে হবে।
তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রফতানি বেড়েছে। কিন্তু পণ্য বহুমুখীকরণে আমরা পিছিয়ে আছি। এদিকে নজর দিতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা করে লাভ হবে না। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পাঠানো হয়, তাদের টার্গেট দিতে হবে, জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোকে (ইপিবি) উদ্দেশ্য করে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন দেশে অনেক মেলার আয়োজন করা হচ্ছে, এর সংখ্যা কমিয়ে এনে মানসম্মত মেলার আয়োজন করতে হবে। কবুতরের খোপে বসে সময় নষ্ট করতে চাই না আমরা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্যসচিব সুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ ও ইনসেপ্টা ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোক্তাদির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।
নির্বাচিত সিআইপি’রা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র সম্বলিত গাড়ির স্টিকার পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
সিআইপিদের জন্য ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’ ইস্যু করবে।
সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তিরা নিজের ও স্ত্রী, পুত্র, কন্যার চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এজেড/এমজেএফ