বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একথা বলেন। অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল সাহা ২০১৭ সালের মুনাফা থেকে ছয় কোটি ২৪ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংকের অডিট করতো এবং নোট দিতো ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইউনুস অবৈধভাবে পদে আছেন। কিন্তু কেউ তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায়নি। আমিই প্রথম ২০০৯ সালে অ্যাকশনে গেলাম। ওনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানালাম, উনি বললেন- চেয়ারম্যান পদ দিতে হবে। আমি এই প্রস্তাব নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলাম। কিন্তু সরকার সেটাতে সায় দিলো না। এরপর আমি ড. ইউনুসকে বোর্ড মেম্বার করার প্রস্তাব দিলাম। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হয়ে আদালতে গেলেন। আদালতের সিদ্ধান্তে তাকে সরে যেতে হলো।
মন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে চিঠি আসতো। আমাকে তার জবাব লিখতে হতো। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আমি এটা থেকে রিলিজ পেয়েছি।
এতে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো সঙ্কট হয়েছিল কিনা? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সমস্যা হয়েছিল। আমাদের পণ্য রফতানিতে জিএসপি সুবিধা তুলে দিলো তারা। দু’টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতো- একটি বাংলাদেশ, অপরটি রাশিয়া।
মুহিত বলেন, এক সময় গ্রামীণ ব্যাংক তৃণমূল পর্যায়ে সঞ্চয় সংগ্রহ করে তৃণমূলেই বিতরণ করতো। এতে তারা মুনাফা করতে পারেনি। এখন তৃণমূল থেকে টাকা সংগ্রহ করে বৃহৎ উদ্যোগে বিনিয়োগ করছে। এতে মুনাফার হচ্ছে প্রতি বছর। এখন এ ব্যাংক নিয়ে আরো কোনো সমস্যা দেখছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এজেড/এএ