বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হন তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে ২০২৪ সালে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাবে। এরপর বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করে বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। ভিয়েতনামের সঙ্গেও এফটিএ স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশ আগ্রহী।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী তার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দুইটি উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে অবশেষে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ভিয়েতনামও তেমনি হো চো মিনের নেতৃত্বে দুইটি উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীন হয়েছে।
‘স্বাধীনতার পরই বাংলাদেশ স্যোশালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনামকে স্বীকৃতি দেয়। দুই দেশের মধ্যে শুধু বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক সংস্পর্শই নয়, এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনেক ক্ষেত্রেও মিল রয়েছে। ’
ভিয়েতনাম বাংলাদেশে গ্যাস, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলেও বৈঠকে জানান তিনি।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের বর্তমান রপ্তানি ২৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এছাড়া কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে ভিয়েতনাম বিনিয়োগ করতে চায়। ’
এ সময় ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদূত সামিনা নাজ ও ভিয়েতনামের বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার কুইক হোং কাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এজেড/এমএ