নতুন মডেলে গ্রাহকের যোগ্যতার রেটিং নির্ধারণে বিভিন্ন বিষয় আমলে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আগে ঋণ গ্রহণ, ফেরত দেওয়া, কতোবার ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন সুবিধা দেওয়া হয়েছে, ঋণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে মামলায় করতে হয়েছিল কিনা বা ঋণের সুদ মওকুফের মতো ঘটনা ঘটেছে কিনা এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন এই মডেলে ব্যাংকিং খাতে ঋণ চাহিদা বিবেচনায় গার্মেন্ট, ম্যানফ্যাকচারিং, সিমেন্ট, ওষুধ, মৎস্য, আবাসন, অবকাঠামোসহ দেশের শীর্ষ ২০টি খাতের গ্রাহকের ঋণ যোগ্যতা যাচাইয়ের রেটিং নির্ণয় করতে হবে। বর্তমানে সব ব্যাংকের জন্য ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং (সিআরডি) ম্যানুয়াল নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপন রয়েছে, যা ২০০৫ সালে প্রণীত হয়। এতে খাতওয়ারি গ্রাহকের রেটিং করার ব্যবস্থা ছিল না। এখন থেকে প্রতিটি খাতের জন্য আলাদা আলাদা মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খাতওয়ারি গ্রহীতা গ্রতিষ্ঠানের রেটিং করার ব্যবস্থা না থাকার কারণেও ঋণ প্রস্তাব যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেক ঋণ যথাসময়ে ফেরত না এসে খেলাপির খাতায় চলে গেছে। তাই খাতওয়ারি গ্রাহকের রেটিং মান নির্ণয়ে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের পরিবর্তে নতুন এ মডেল প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে আন্তর্জাতিক ঋণ বিতরণ নীতি অনুশীলন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, এ মডেল প্রয়োগের জন্য বেসরকারি খাতের মার্কেন্টাইল, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক ও বিদেশি খাতের এইচএসবিসি ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এতে সংশ্লিষ্ট খাত ও গ্রাহকের বিগত ৩ বছরের ব্যালেন্স শিটের তথ্য থাকবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের নাম চাপলেই সংশ্লিষ্ট খাতের গ্রহীতার সব তথ্য জানা যাবে; অর্থাৎ গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা তা রেটিংমানের ভিত্তিতে জানতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এসই/জেডএস