ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজকে মার্জিন লোন বিবরণ জমার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০
মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজকে মার্জিন লোন বিবরণ জমার নির্দেশ

ঢাকা: মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে আগামী রোববারের মধ্যে তাদের বিতরণ করা ঋণের (মার্জিন লোন) বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

মার্জিন ঋণের হিসাব পদ্ধতি বাস্তবায়নে সমস্যা সমাধানসহ বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করতে রোববার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এসইসি’র এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।



তবে বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে মার্জিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঘোষিত নির্দেশনা শিথিল করে ঋণের হার পুনর্নিধারণের দাবি জানানো হলেও এসইসি তাতে সাড়া দেয়নি।

এসইসি সূত্র জানায়, শেয়ারের বাজার মূল্যের সঙ্গে ‘প্রকৃত সম্পদ মূল্য’ (এনএভি) সমন্বয় করে মার্জিন নির্ধারণ প্রদানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হলে বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রির (ফোর্স সেল) ক্ষেত্রে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে আগামী রোববার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করবে এসইসি। ওই বৈঠকে শেয়ারবাজারে ঋণের প্রভাব পর্যালোচনা করে মার্জিন নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে সংশ্লিষ্টদের এসইসি’র ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্জিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এনইভি’র ভিত্তিতে হিসাব পদ্ধতি কার্যকর করার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।

রোববারের বৈঠক শেষে এসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘প্রকৃত সম্পদ মূল্য’ (এনএভি)  ভিত্তিক হিসাব পদ্ধতি কার্যকর করার বিষয়ে এসইসি’র অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা তৈরি হলেÑ তা সমাধান করা হবে। এক্ষেত্রে ঋণ হিসাবের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা খুব বেশি কঠিন হবে না। ’

আগামী রোববার বাজারে সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ পর্যালোচনা করে মার্জিন নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিনের বাজার দরের ভিত্তিতে ঋণ হিসাব সংক্রান্ত জটিলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এনএভি’র ভিত্তিতে প্রতিদিনই মার্জিন পরিবর্তন করতে হবেÑ এ ধারণা ঠিক নয়। ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে যে কোনো নির্দিষ্ট দিনের বাজার দরের ভিত্তিতে প্রতিটি শেয়ারের মার্জিন হিসাব করতে পারবে। এভাবে মার্জিন নির্ধারণ করা হলে কোনো জটিলতার আশঙ্কা নেই। ’
 
বাজার পরিস্থিতিতে এসইসি’র উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া বলেন, ‘বাজার তার স্বাভাবিক গতিতে চলছে না বলে কমিশন মনে করে। অস্বাভাবিক ও বিরামহীন গতিতে চলার কারণে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ’
 
শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে শেয়ারের সরবরাহ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে শেয়ারবাজারে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে শেয়ারের চাহিদা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় সরবরাহ বাড়ছে না। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরবরাহ বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।