বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন ২০১৮’র প্রথম অধিবেশনে উপস্থাপিত ‘এক অঙ্ক সুদহার, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের ওপর আলোচনায় উঠে আসে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যয় বেশি হওয়ায় ঋণের সুদহার কমিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
২০১৭ সালে দেশের ব্যাংক খাতের গড় সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর গড় খেলাপি ঋণের হার ২০১৬ সালে ছিল ১১.৫৪ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে তা কিছুটা কমে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশে দাঁড়ায়।
হুট করেই ব্যাংকের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। এটা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম হাবিবুর রহমান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মালিকাধীন ব্যাংকগুলোর পক্ষে ঋণের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, ১১ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৪ শতাংশ সুদ আরোপ করা সম্ভব। যেখানে সব ধরনের ব্যাংকের আমানতের সুদের হার থাকবে ৬ শতাংশের নিচে। এটা না হলে, সব ব্যাংকের পক্ষে ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদ আরোপ করা সম্ভব হবে না, যদি না পরিচালন ব্যয়, মূলধন ব্যয় ও প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো উন্নতি না ঘটে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, অধ্যাপক ইয়াছিন আলী প্রমুখ।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিলো ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ (জুন ২০১৮ পর্যন্ত ১০ চীনের ৪১ শতাংশ), যেখানে চীনের খেলাপি ঋণ ১ চীনের ৭৪ শতাংশ, শ্রীলংকার খেলাপি ঋণের হার ২.৫০ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডের খেলাপি ঋণের হার ছিলো ৩ চীনের ০৭ শতাংশ।
এবারের ব্যাংকিং সম্মেলনে দু’দিনে চারটি সেশনে মোট ২২টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এসব সেশনের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে বিআইবিএম।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এসই/এপি/এসআরএস